বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে শীর্ষে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস। এ দুটি ওএস বিশ্বের হাজার কোটি ডিভাইসকে পরিচালিত করছে। সম্প্রতি অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে হারমনি ওএস। প্রযুক্তিবিদসহ সবারই এক প্রশ্ন, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের আধিপত্য রোধে হারমনি কতটুকু সক্ষম?
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে হারমনি ওএসের আত্মপ্রকাশ। ২০১৯ সালে প্রথম মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহারে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর মধ্যে গুগল মোবাইল সার্ভিসেস (জিএমএস) রয়েছে। এর প্রভাবে হুয়াওয়ের ডিভাইস জিমেইল, ম্যাপ, প্লেস্টোরসহ গুগলের পরিষেবা ব্যবহারের সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। এর পরই হুয়াওয়ে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কাজ শুরু করে।
হারমনি ওএস বহুমুখী একটি অপারেটিং সিস্টেম। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট টিভিসহ আইওটিতেও এটি ব্যবহার করা যায়। এর বেশ কয়েকটি ফিচার রয়েছে। মাইক্রো কারনেল আর্কিটেকচার: এ আর্কিটেকচার নিরাপত্তা ও পারফরম্যান্সের বিষয় নির্ধারণ করে থাকে। ফলে ওএস ব্যবহারে উন্নত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
ক্রস-ডিভাইস কানেক্টিভিটি: হারমনি ওএসের মাধ্যমে একই সঙ্গে একাধিক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা যায়। এর মাধ্যমে সহজে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব।
মাল্টি-ডিভাইস ডেপ্লয়মেন্ট: বিভিন্ন ডিভাইসে সংযুক্ত হওয়ার সুবিধা থাকায় ডেভেলপাররা যেকোনো অ্যাপের একটি ভার্সন তৈরি করে থাকেন।
ইতিবাচক বিষয়ের পাশাপাশি এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। প্রথমত, হারমনি ওএসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যাপ স্টোর ও ডেভেলপার সাপোর্ট সিস্টেম নেই। দ্বিতীয়ত, বাজার হিস্যার দিক থেকে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এখনো শীর্ষে। ফলে গ্রাহক আকৃষ্টে হারমনি ওএসকে আরো কাজ করতে হবে। তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র-চীন চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশে হারমনি ওএস ব্যবহারের সম্ভাবনা একেবারেই কম।
চলতি মাসের তথ্যানুযায়ী, হারমনি ওএস বর্তমানে চীনের বাজারের ওপর নির্ভরশীল। হুয়াওয়ের স্মার্টফোনসহ স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট টিভিতেও এ অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। এর মাধ্যমে চীনে সফল হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে অপারেটিং সিস্টেমটির অবস্থান নেই।
বাজার বিশ্লেষকরা অবশ্য হারমনি ওএসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। অনেকের মতে, অপারেটিং সিস্টেমটি চীনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবে। এমনকি দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইওএসকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদিও অধিকাংশ বিশ্লেষকই মনে করেন, অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের বিপরীতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরিতে হারমনির সম্ভাবনা অনেক কম।
হুয়াওয়ে যদি অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে অবস্থান তৈরি করতে চায় তাহলে বেশকিছু বিষয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন বিশারদরা। এগুলো হলো-
অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা: হারমনি ওএসে যদি প্রচলিত অধিকাংশ অ্যাপ যুক্ত করা যায়, তাহলে ব্যবহারকারী বাড়ানো যাবে।
একাধিক ডিভাইস ব্যবহারের সুবিধা: নতুন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে বিভিন্ন ডিভাইসে হারমনি ওএস ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি নতুন গ্রাহক আকৃষ্টে সহায়ক হবে।
ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা: অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসের আধিপত্যে প্রভাব বিস্তারে হারমনির ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা সহায়ক হবে। কেননা এ অপারেটিং সিস্টেম নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বেশকিছু সুবিধা দিয়ে থাকে।
Xiaomi 14 Ultra থেকে Oppo F25 Pro 5G, ফেব্রুয়ারির শেষে লঞ্চ হচ্ছে এই ফোনগুলি
চীনের বাইরে হুয়াওয়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু রয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোয় এখনো অনেক ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, হুয়াওয়ে যদি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারে তাহলে গ্রাহক সংখ্যা বাড়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। গিজচায়না অবলম্বনে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।