লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমরা গিরগিটি নই, আমরা মাঝেমধ্যে রঙ বদলাতে পারি না। কিন্তু সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে অসচেতনভাবে আমরা আমাদের চারপাশের মানুষজনদের অনুকরণ করে থাকি। এটাকেই গবেষকরা গিরগিটি প্রভাব হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তানিয়া এবং জন বার্গ—নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ দুই গবেষক ১৯৯৯ সালে গবেষণা করে জানিয়েছিলেন, গিরগিটির প্রভাব কিভাবে কাজ করে।
গিরগিটি প্রভাব মূলত উপলব্ধি-আচরণের একধরনের সংযোগ। এমন ব্যাপার যে, কাউকে কিছু করতে দেখে আপনিও সেটি করার উৎসাহ পেয়ে যান। ছোটখাটো ব্যাপারে অসচেতনভাবেই অন্যকে অনুকরণ করে ফেলেন। যেমন, অঙ্গভঙ্গি, কথা বলার ধরন, তাৎক্ষণিক অবস্থান ইত্যাদি।
গিরগিটি প্রভাব এমন যে, অন্যের মুখোমুখি আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপকে এটি প্রভাবিত করে। সংক্রামক বা শঙ্কাজনক মনে হতে পারে, তবে গবেষকরা বলছেন, এটি ভালো জিনিস। যেহেতু অনুকরণ সামাজিক আঠার মতো কাজ করে, সমাজবদ্ধ রাখতে সহায়তা করে।
গবেষকরা দেখেছেন, গিরগিটি প্রভাব আমাদেরকে একত্রে রাখে, এমনকি যখন আমরা আর একত্রে থাকতে চাই না তখনও।
গিরগিটি প্রভাব উপলব্ধি-আচরণের সংযোগের মতো কাজ করে এবং এটি একটি ভাগ্যবান কবজ যা আপনি যেখানেই যান আপনার সমস্ত মিথস্ক্রিয়াকে আরো মনোরম করে তোলে। এমনকি অপরিচিতদের সাথে আপনার ক্ষণস্থায়ী মিথস্ক্রিয়াও। বিশেষত অপরিচিতদের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যাদেরকে আপনার চরিত্রটি অনুমান করতে হয়।
সুতরাং পরেরবার আপনি যখন নিজেকে কারো অঙ্গভঙ্গির বা উচ্চারণের অনুকরণ করতে দেখবেন, বিব্রত বোধ করার দরকার নেই। শুধু নিজেকে মনে করিয়ে দেন, এর অর্থ আপনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।