আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের শহর অযোধ্যায় ৩১ বছর আগে গুঁড়িয়ে দেওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় রাষ্ট্রীয় মহাসমারোহে আজ সোমবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রাম মন্দির। ক্ষমতাসীন বিজেপির দীর্ঘ ৫০ বছরের স্বপ্ন এই রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আলোচিত এই ধর্মীয় স্থাপনার ব্যয় সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন।
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ধর্মীয় স্থাপনা হলো রাম মন্দির। ভারতীয় নির্মাণ সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুব্রো ৭০ একর (২৮ হেক্টর) কমপ্লেক্সের মধ্যে মন্দিরটি নির্মাণ করছে। রাম মন্দির নির্মাণে প্রায় ১৮০০ কোটি রুপি খরচ হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাম মন্দির প্রতিষ্ঠায় ভারত সরকার কোনো তহবিল সরবরাহ করেনি। সম্পূর্ণ কমপ্লেক্সের জন্য প্রায় ৩০০০ কোটি রুপি (৩৬ কোটি ১০ লাখ ডলার) অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে।
রাম মন্দির নির্মাণের ভার ন্যস্ত করা হয়েছিল শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাছে। এই ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য। এখনো পর্যন্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা রয়েছে মোট ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে অযোধ্যার এই মন্দির তৈরির মোট বাজেট ১৮০০ কোটি টাকা।
উত্তর ভারতের ‘নগর ধাঁচে’ নির্মিত এই মন্দিরটির আয়তন ৯৫ হাজার বর্গফুট। এই মন্দিরটিতে ৩৯২টি পিলার আছে এবং আছে ৪৪টি দরজা। মন্দিরটির দেয়ালগুলোতে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা আছে। মন্দিরের সবচেয়ে পবিত্র জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে রামের পাঁচ বছর বয়সের একটি মূর্তি।
অপরদিকে, শিবের পুনঃস্থাপিত মন্দিরটি অবস্থিত রাম মন্দির কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে। এই মন্দিরের পাশেই ‘সীতা কূপ’ নামে একটি কুয়া আছে। ধারণা করা হয়, এই কুয়াটি কয়েক হাজার বছরের পুরোনো।
ভারতের দেশীয় বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে এমন শিল্পকর্ম এবং ম্যুরাল তৈরির জন্য সারা দেশ থেকে শিল্পীদের বাছাই করা হয়েছে। মন্দিরের ভেতরের অংশ সাজানো হবে সোনা দিয়ে।
ভগবান রামের ম্যুরাল তৈরি করেছেন তিনজন ভাস্কর। এদের মধ্যে একজনকে গর্ভগৃহের ভেতরে থাকার জন্য বেছে নিয়েছিল প্যানেল। ‘রামলালা’ বা পাঁচ বছর বয়সী ভগবান রামের ভাস্কর্যটির ওজন ১৫০-২০০ কেজি (৪৪০ পাউন্ড)। ভাস্কর্যটি তৈরি হয়েছে গ্রানাইটের পাথর দিয়ে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এই ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখনো সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণ হয়নি। পুরো মন্দির তৈরি শেষ হতে ২০২৫ সাল লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।