বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : অতিরিক্ত গরম থেকে মুক্তি পেতে বাধ্য হয়ে অনেকেই অনেকেই ঘরে এসি লাগান। ঘরে এসি লাগালেও চিন্তা বাড়ায় বিদ্যুৎ বিল। টানা এসি চললে স্বাভাবিকভাবেই বিল বেশি আসে। খরচও বেড়ে যায়।
বিল কীসের উপর নির্ভর করবে তা জানার আগে এসি নিয়ে কয়েকটি তথ্য জেনে নেওয়া যাক। বাজারে বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন ধরনের এসি পাওয়া যায়।
এসি কেনার সময় ঘর কতটা বড়, তার উপর নির্ভর করে কিনতে হয়। ঘরের আকার বড় হলে অবশ্যই বড় এসি কেনা উচিত। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিলেও কিছুটা তারতম্য হতে পারে। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নিন কত টনের এসিতে কেমন বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে।
টন-এর হিসেবে ব্যক্তিগত কারণে বা বাড়িতে ব্যবহৃত এসির মাপ হয়ে থাকে। ১, ১.৫. ২ টন- এরকম বিভিন্ন মাপের এসি রয়েছে।
এই টনের পরিমাপ এসির ঠান্ডা করার ক্ষমতা বোঝায়। এটি লোড বোঝায় না। যত বেশি টনের এসি, তত বেশি ঠান্ডা করার ক্ষমতা।
যদি কোনও ঘরের আয়তন ১০x১০x১০ অর্থাৎ ১০০০ ঘনফুট হয়ে থাকে। তাহলে সাধারণত ১ টনের এসি-তে কাজ চলে যায়। যত বড় ঘর, তত বেশি টনের এসি লাগবে। আবার ছাদের তলার ঘরে উত্তাপ বেশি, তাই সেক্ষেত্রে ১০০০ ঘনফুট ঘরেরও অন্তত দেড় টের এসি লাগতেই পারে।
যদি এসিতে লেখা থাকে 2.5KW, তাহলে এর অর্থ ওই এসি একঘণ্টা একটানা চললে ২.৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে। এই হিসেব করে মোটামুটি এসি কতক্ষণ চললে কতটাকা বিল আসতে পারে তার একটা ধারনা করা যায়।
দেড় টনের একটি ওয়ালটন ইনভার্টার রেগুলার এসি ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটানা ৫০ মিনিট করে প্রতিদিন আট ঘণ্টা চালালে এক মাসে বিদ্যুৎ খরচ হবে ২৫৩ দশমিক ৪১ কিলোওয়াট। যার আনুমানিক বিল আসবে প্রায় এক হাজার ৫৬৩ টাকার কিছু বেশি।
একই সময়ে দুই টনের একটি এসির বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। তবে এক টনের একটি এসি একই সময় ধরে চালালে বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় এক হাজার ৩০০ টাকার কিছু বেশি।
এই হিসেবগুলো ওয়ালটনের এসি ইলেকট্রিসিটি বিল ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে করা হয়েছে। উল্লেখ করা বিষয় এবং বিদ্যুৎ বিলের উপর নির্ভর করে এসির বিদ্যুৎ খরচও পরিবর্তিত হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।