লাইফস্টাইল ডেস্ক : সিলিং ফ্যান ও টেবিল ফ্যান কম বেশি সবার ঘরেই আছে। তাই এসব ফ্যান পরিচিত। কিন্তু এগজস্ট ফ্যান নিয়ে অনেকেরই ধারণা নেই। এই ফ্যান কী কাজে লাগে তা হয়তো কারো কারো জানা নেই।
এগজস্ট ফ্যান কোথায় ব্যবহার হয়?
সাধারণত এগজস্ট ফ্যান রান্না ঘর ও বাথরুমে বেশি ব্যবহৃত হয়। বাথরুমে গন্ধ বাইরে বের করার জন্য ইনস্টল করা হয়। অন্যদিকে রান্না ঘরের তেল চিটচিটে ভাব ও ভ্যাপসা বাতাস বাইরে বের করার জন্য এগজস্ট ফ্যান বসানো হয়। এছাড়াও কলকারখানায় ও ওয়ারহাউজে এই ফ্যানের ব্যবহার আছে। এছাড়াও বড় বড় রেস্তোরাঁরা রান্নাঘরেও এটি বসানো হয়।
রান্নাঘরে এগজস্ট ফ্যান
রান্নার সময় ময়লা ধোঁয়া বাতাসের জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে এক ধরনের আঠালো ভাব তৈরি করে। এতে রান্নাঘরের দেয়াল ও অন্যান্য জিনিসপত্র তেল চিটচিটে হয়ে যায়। আর এই তেল চিটচিটে ভাব দূর করে এগজস্ট ফ্যান।
এগজস্ট ফ্যান চুলার গরম বাতাস বাইরে বের করে দেয়। এতে রান্নাঘরের বাতাস ঠাণ্ডা থাকে আর তেল চিটচিটে ভাবটাও কম হয়। আর এই এগজস্ট ফ্যানও প্রতি মাসে একবার পরিষ্কার করতে হবে। আর যদি প্রতি মাসে একবার পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে অনেক তেল ও ময়লা জড়িয়ে যায়। ফলে পরিষ্কার করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে।
বাথরুমে এগজস্ট ফ্যান
বর্ষায়, যতক্ষণ বৃষ্টি হয়, ততক্ষণই শীতল আবহাওয়া থাকে। অন্য সময় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়তে থাকে। এমনকী সদ্য বাথরুম থেকে গোসল করে বের হলেও মনে হয় ত্বকে একটা চটচটে ভাব রয়ে গিয়েছে। বর্ষাকালে এমন আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে এগজস্ট ফ্যান। গোসলখানায় একটি এগজস্ট ফ্যান ইনস্টল করে নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
সাধারণত বেশির ভাগ বাড়িতেই বাথরুমে এগজস্ট ফ্যান লাগানো হয় দুর্গন্ধ দূর করার জন্য। আসলে এই পাখা বাথরুমের ভেতরের হাওয়া বাইরে টেনে বের করে দিতে পারে। তার ফলে যেমন দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়। তেমনই আর্দ্রতা থেকেও খানিকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
এগজস্ট ফ্যানের দাম
এগজস্ট ফ্যানের আকার ও পাখার পরিমান ও আকারের ওপর দাম নির্ভর করে। সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা দামেরও এগজস্ট ফ্যান পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।