আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। টেসলা ও স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে টপকে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তাঁর সম্পদমূল্য ১৯ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার। গত বছরেই বেজোসের লাভ হয়েছে ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জেফ বেজোসের নেতৃত্বে অ্যামাজন এখন ই-কমার্সের পাশাপাশি ক্লাউড কম্পিউটিং, অনলাইন বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল স্ট্রিমিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসাও পরিচালনা করছে। এছাড়া,ও মহাকাশে মানুষবাহী রকেট পাঠানো প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিন’ এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ব্যবসায় দারুণ সুসময় কাটাচ্ছেন তিনি।
ব্যবসা প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে নিজের সম্পত্তিও সমানতালে বাড়িয়ে চলছেন জেফ বেজোস। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছেন, মিয়ামির নৈসর্গিক দ্বীপ ইন্ডিয়ান ক্রিক আইল্যান্ডে ছয় শয়নক্ষের একটি ম্যানসন কিনেছেন বেজোস, এজন্য তাঁর পকেটে থেকে বেরিয়ে গেছে ৯০ মিলিয়ন ডলার।
মিয়ামির ইন্ডিয়ান ক্রিক আইল্যান্ড এমনিতেই ধনীদের রাজ্য হিসাবে পরিচিত। কাড়ি কাড়ি টাকা না থাকলে এখানে কারো পক্ষে বাড়ি-ঘর কেনা সম্ভব নয়। আমেরিকর ধনী সেলিব্রেটিরাই এই নয়নাভিরাম দ্বীপটিতে বাড়ি কেনার সাহস দেখান। আর বেজোস তো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
তবে অ্যামাজনের মালিক শুধু সেখানে একটি ম্যানসনই কেনেনি, তার রিয়েল এস্টেট সম্রাজ্যও সম্প্রসারিত করেছেন। ম্যানসনটিতে বসবাস করার পরিকল্পনা করার পাশাপাশি, দ্বীপটি আবাসান ব্যবসাও করবেন। এ জন্য পুরনো বাড়ি-ঘরসহ জমিও কিনেছেন। ইচ্ছে আছে সব ভেঙ্গেচুরে নতুন কিছু করা।
আর সেই জন্যই এতো টাকা নিয়ে ম্যানসনটি কিনেছেন জেফ বেজোস। তিনি সে ম্যানসনটি কিনেছেন সেটি শেষবার বিক্রি হয়েছিলো ১৯৯৮ সালে ২৫ লাখ ডলারে। সেটিই বেজোস কিনলেন ৯০ মিলিয়ন ডলারে। তবে ম্যানসনের আশপাশের সব জায়গাও কিনে নিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
বেজোস গেলো নভেম্বরে ঘোষণা করেন, তিনি সিয়াটল থেকে মিয়ামিতে চলে যাচ্ছেন৷ তিনি ইন্ডিয়ান ক্রিক আইল্যান্ডে দুটো ম্যানসনের জন্য ১৪৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন। মানবসৃষ্ট এই দ্বীপটিতে মার্কিনীরা বলে থাকে ‘বিলিওনিয়ার বাঙ্কার’ হিসাবে, কারণ সেখানে সব বিলিওনিয়ারাই বাস করেন।
বেজোস যে ম্যানশনটি কিনেছেন সেটির ঠিকানা ২৮ ইন্ডিয়ান ক্রিক আইল্যান্ড রোড। এটির সবশেষ মালিক ছিলেন জাভিয়ের হোল্টজ নামের এক ব্যাংকার। এছাড়াও ওয়াশিংটন ও ক্যালিফোর্নিয়ার বিভারলি স্ট্রিটে জেফ বেজোসের আরও দুইটি বাড়ি রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।