লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে চালু হয় ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট সেবা। বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) প্রবর্তনের পর এখনও এক দশক পার না হতেই ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু হয়।
চলুন জেনে নিই ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে-
ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৪০২৫ টাকা, জরুরি ফি ৬৩৯৫ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৮৬২৫ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৭৫০ টাকা, জরুরি ফি ৮০৫০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৬৩২৫ টাকা, জরুরি ফি ৮৬২৫ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৮০৫০ টাকা, জরুরি ফি ১০৩৫০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১৩৮০০ টাকা।
নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
এছাড়া, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১১৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭২.৫ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৪৩.৭৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২০১.২৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৭২.৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২৩০ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ২০১.২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২৫৮.৭৫ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।