আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই আদানির ঘুষকাণ্ড ও মনিপুর-আসাম ছাড়াও সমান গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে বৃহস্পতিবার তুমুল আলোচনা হয়েছে। সংসদ নেতা নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে কৈফিয়তও দাবি করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা।

তখনই জানানো হয়েছিলো, বাংলাদেশ ইস্যুতে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ধ্যায় ভারতীয় লোকসভার অধিবেশনে জয়শঙ্কর দেশটির আইনপ্রণেতাদের জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর ভারত গভীরভাবে নজর রাখছে।
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার অভিযোগ এনে ভারতের লোকসভায় করা পাঁচ প্রশ্নের লিখিত জবাবে এসব কথা বলেন এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার ওই প্রশ্নোত্তরগুলো প্রকাশ করেছে লোকসভা।
প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশজুড়ে চলতি বছরের আগস্টসহ বিভিন্ন সময়ে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুর ওপর সহিংসতার খবর দেখেছে ভারত সরকার। তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত।
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা অভিযোগ তুলে বিজেপির সংসদ সদস্য অরুণ কুমার সাগরের প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, সরকার হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন দেখেছে, তাদের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ জুড়ে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসসহ বিভিন্নস্থানে হামলা হয়েছে। ভারত সরকার এই ঘটনাগুলো গুরুত্ব সহকারে নোট নিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে উদ্বেগ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে চুরির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। এসব ঘটনার পর বিশেষ নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখছে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন। সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবন রক্ষা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রাথমিক দায়িত্ব দেশটির সরকারের।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ইসকন বাংলাদেশের সাবেক পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও হিন্দুদের ওপর কথিত হামলা বৃদ্ধির অভিযোগ ঘিরে চলমান উত্তেজনার মাঝে পরপর দু’দিন ভারতের সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা হলো। সবশেষ শুক্রবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিলেন দিল্লির পরারাষ্ট্রমন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।

 


