লাইফস্টাইল ডেস্ক : জীবনের কোন সময়টা বেশি হাসিখুশি ছিলেন? নিশ্চয়ই সবার উত্তর হবে শৈশবকাল। আর শৈশব মানেই সারাক্ষণ লাফালাফি আর দৌঁড়ঝাপ। ছোট থেকে বড় হতে হতে আমরা গতি ও আনন্দের এই সম্মিলিত ভালোলাগাটা হারিয়ে ফেলি। মন ভালো করার নানা উপায় খুঁজে বেড়াই আমরা। গবেষণা বলছে, সচল থাকার মাধ্যমে আমরা সেই যোগসূত্রটি আবার আবিষ্কার করতে পারি। আর কিছু মূলনীতি মেনে চললে শুধু ব্যায়াম করেই মন ভালো হয়ে যাবে।
১. খোলা জায়গায় ব্যায়াম করা
প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে এমনিতেই মন সতেজ থাকে। উন্মুক্ত জায়গায় ব্যায়াম করলে প্রাকৃতিক বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে। সেখান থেকে অক্সিজেন চলে যায় শরীরের প্রতিটি কোষে। ভেতরের দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগও তাই সহজেই কেটে যায়।
২. গান বা সুরের তালে ব্যায়াম করা
গান বা সুরের তালের সঙ্গে মিল রেখে ব্যায়াম করলে এতে একটি আলাদা উৎসাহ কাজ করে। আপনার ভেতরের গতি দ্রুতলয়ের সুরের গতির সঙ্গে তখন তাল মেলাতে চায়। এতে শরীর সচল ও মন প্রফুল্ল হয়। ছোটবেলায় খেলার সময় একে অপরকে তাড়া করার যে আনন্দ, ঠিক তেমন। আর দ্রুতগতির ব্যায়ামের ফলে অ্যান্ডরফিন হরমোন নিসৃত হয়। এটি আমাদের হতাশা কাটিয়ে মন ভালো করতে সাহায্য করে।
৩. কোনো দলে যুক্ত হওয়া
একাকী থাকলে মন ভার করা ভাবনাগুলো আররো বেশি বেশি ঘিরে ধরে। হতে পারে এজন্য শুয়েবসে থেকে আর ব্যায়ামই করা হচ্ছে না। এ দিক থেকে সুফল পেতে পারেন ব্যায়ামের গ্রুপগুলোতে জয়েন করে। একদিন হয়তো ভাবছেন, আজ ওয়ার্ক আউট করবেন না। কিন্তু সবাই কী জিজ্ঞেস করবে ভেবে চলে গেলেন জিমে। দলবদ্ধভাবে ব্যায়াম করলে আসলে এতে আগ্রহ পাওয়া যায়। আর গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত দলবদ্ধভাবে ব্যায়াম করেন, তাঁরা খুব কমই একাকীত্বে ভোগেন।
৪. কোন একটা পুরনো অভ্যাসে ফিরে যাওয়া
এমন কোনো ব্যায়াম আগে যেটি খুব পছন্দ করতেন সেগুলোর জন্য সময় বের করুন। অনেকেই সাইক্লিং করতেন, অনেকেই পছন্দ করতেন সাঁতার কাটতে। ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট কিংবা ফুটবল ম্যাচও আয়োজন করা যেতে পারে। শারীরিক পরিশ্রম হয়, এমন যেকোনো খেলা বেছে নিতে পারেন। এতে মন ও শরীর দুটোই প্রাণবন্ত থাকে।
৫. মনোভাবের পরিবর্তন আনা
আপনি এখনো যতটুকু সচল আছেন, তাঁর জন্য নিজেকে প্রশংসা করুন। তারপর কোন ব্যায়াম করবেন সেটা ঠিক করুন। শরীরকে একদম হঠাৎ পরিবর্তন করা যাবে না। নিয়মিত চর্চা করে ফিটনেস রুটিন রপ্ত করুন। আর প্রতিদিন যেটুকু করতে পারছেন, তার জন্য নিজেকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।