ডায়াবেটিসে কোন আটার রুটি খেলে বাড়বে না সুগার?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পাউরুটি, পিৎজা, বার্গার, পাস্তা মতো খাবার অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু এগুলো মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। পাউরুটি থেকে শুরু করে পাস্তা—এই ধরনের খাবার ময়দা দিয়ে তৈরি। আর ময়দা শরীরের জন্য বিষ।

ময়দার তৈরি খাবার খেলে ওজন বাড়ে। তৈরি হয় ওবেসিটির ঝুঁকি। পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কার্ডি‌ওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই ময়দা তৈরি রুটিও এড়িয়ে চলা উচিত।

ডায়াবেটিসে ময়দা তৈরি খাবার একদম চলবে না। তাহলে ময়দা বদলে রুটি বানাতে কীসের আটা ব্যবহার করবেন? গমের আটা বা সাধারণ আটার রুটি আপনি খেতে পারেন। এতে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এছাড়া আর কী-কী আটা খাওয়া যায়, রইল টিপস।

রাগির তৈরি আটায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ওবেসিটিতে ভুগলে রাগির তৈরি আটা ব্যবহার করতে পারেন।

গ্যাস, বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জোয়ারের আটা ব্যবহার করুন। গ্লুটেন-ফ্রি খাবারের খোঁজে থাকলে জোয়ারের আটা দিয়ে তৈরি রুটি খেতে পারেন। এটি গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

ডায়াবেটিসের রোগীরা ওটসের তৈরি আটা খেতে পারেন। এই মিলেটজাতীয় দানাশস্যের আটা থেকে তৈরি রুটি ময়দার তৈরি খাবারের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না।

বাজারে সহজেই গরমের আটা, জোয়ার ও রাগির আটা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও নারকেলের আটা ব্যবহার করতে পারেন। নারকেলের আটা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী। সবচেয়ে ভাল হয় যদি নারকেলের আটা দিয়ে কুকিজ, ব্রাউনিজ ও পাউরুটি বানিয়ে খান।

অন্যান্য আটার থেকে বেশ চড়া দামে বিক্রি হয় আমন্ডের আটা। হাই-প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভরপুর আমন্ডের আটা। কেক, মাফিন তৈরির জন্য আমন্ডের আটা ব্যবহার করতে পারেন। এই আটা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না।