জুমবাংলা ডেস্ক : নড়াইল জেলাব্যাপী বইছে তীব্র তাপদাহ। ৪১ থেকে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন। এরই মধ্যে পাঁচদিন ধরে নড়াইল শহরে অবস্থান করছেন ক্রিকেট তারকা, জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।
প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে একের পর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও ক্লান্তির লেস মাত্র নাই তার চেহারায়। এত আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠা নড়াইলের কৌশিকের নেশা। মঙ্গলবার পরপর দুটি মতবিনিময় সভা শেষ করে দুপুরের প্রচণ্ড খরতাপের মধ্যেই হুট করে সিদ্ধান্ত লোহাগড়ায় যাবেন মাশরাফি। গাড়িতে চেপে বন্ধুদেরও উঠতে বললেন।
গাড়ি ছুটে চলল, লোহাগড়া থেকে ডানে গ্রামের পথ বেয়ে ২৪ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মাশরাফির গাড়ি বহর থামল উপজেলার ঘাঘা গ্রামের মধুমতি নদীর পাড়ে। ক্যাপ্টেন মাশরাফি বরাবরের মতো সবার আগে নদীতে নামলেন, পেছনে বন্ধুর বহর। একে একে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মধুমতি নদীর পানিতে।
পানিতে নেমেই ফুটবল নিয়ে বন্ধুদের ওপর হামলে পড়া ও সাঁতরে মাঝ নদীতে যাওয়া- এ যেন কৈশোরের কৌশিক সব ভুলে মেতেছেন ছেলেবেলার দুরন্তপনায়। ঘণ্টাব্যাপী পানির মধ্যে থেকেও কোথাও একটা কমতি মনে হলো কৌশিকের। বড় নদী সাঁতরে মাঝ নদীতে গিয়ে বন্ধুদের পার করা, মাছ ধরা ও নৌকার গলুই ধরে ঝুলে বাকিটা নদী পার হয়ে ওপরে বসেই একটু পানি পান করলেন তিনি। কিন্তু বসে থাকার জো-তো আর নেই! বন্ধুরা দলবেঁধে হামলা বলেই কাদা ছুড়তে লাগলেন মাশরাফির দিকে। কিছুটা সামলেই পালটা নিজে কাদা হাতে বন্ধুদের ওপর আক্রমণ চালান ম্যাশ।
বন্ধুদের নিজের দেওয়া নাম ধরে ডেকে অন্যরকম তৃপ্তি অনুভব করেন ম্যাশ। এ তালিকায় স্নেহধন্য ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীলও বাদ পড়লেন না। নিজের দেওয়া নাম ধরে ডেকে অট্ট হাসিতে ফেটে পড়েন কৌশিক। এভাবেই তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে ম্যাশের জলকেলি। লুঙ্গি ও টি শার্ট গায়ে চেপেই আবার ছুটে চলা পরবর্তী শিডিউলের দিকে। উৎসুক জনতা মাশরাফিকে বিগত ছয় বছর ধরে কাছ থেকে দেখছেন। আজ দেখলেন ভিন্ন রূপে, একটাই মন্তব্য মাশরাফি এতটা সাধারণ?
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।