জুমবাংলা ডেস্ক : গণ অধিকার পরিষদ নামে অন্য কোনো দলকে নিবন্ধন না দিতে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।এ সময় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষত করেও এ বিষয়টি তুলে ধরছেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
সম্প্রতি তার দল গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে। একই নামে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন একটি অংশও ইসির নিবন্ধন চেয়েছে। এমনকি গত ২ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাকর্মীরা ইসি সচিবের কক্ষের বাইরে হট্টগোলও করেছে।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে নুর বলেন, আমরা বলেছি আমাদের দলেরই একটি অংশ বেরিয়ে গিয়ে এখন নিবন্ধন চায়। তারা ইসিতে এসে বিশৃঙ্খলাও করেছে। আমরা বলেছি আমাদের দলের নামের মতো কোনো দলকে যেন নিবন্ধন না দেওয়া হয়।
এছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারসহ নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে সেগুলো বলার মতো নয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর নুরের নেতৃত্বাধীন অংশ “গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি)” নামে নিবন্ধন পেলে রেজা কিবরিয়া অংশের “গণ অধিকার পরিষদ”-এর আহ্বায়ক কর্ণেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে বেশকিছু নেতাকর্মী নির্বাচন ভবনে আসেন। এরপর তারা ইসির সচিবের দপ্তরেও ঢুকে যান। সেখানে ‘অযৌক্তিভাবে’ সেদিনের মধ্যেই নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, যে ঘটনাকে ‘সীমা অতিক্রম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন সে সময়কার ইসি সচিব শফিউল আজিম।
তিনি বলেন, ঠিক অবরুদ্ধ নয়, অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। একজনের আচরণ লিমিট ক্রস করেছে। বিষয়টি আমরা সরকারকেও জানিয়েছি। এভাবে তো হয় না। আমরা বলেছি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু সেটা তারা মানতে নারাজ।
২০২১ সালে নুরুল হক নুর ও তার সমমনারা গণ অধিকার পরিষদ গঠন করেছিলেন। এতে আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। তবে ২০২৩ সালের জুনে এসে দলটি দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদনও করে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই দুই শীর্ষ নেতা নুর ও রেজা পরস্পরকে বহিস্কার করেন। এতে দলটির নেতৃত্ব ও কার্যালয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠলে নিবন্ধন তালিকা থেকে শেষ পর্যায়ে এসে বাদ পড়ে গণ অধিকার পরিষদ।
এরপর কাউন্সিল করে নুরের অংশ কমিটি গঠন করে ইসিতে নথি জমা দেয়। এবং দু’দফায় পুনর্বিবিচেনার আবেদন করে অবশেষে নিবন্ধন পায় “গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি)”। আর এই খবর রটে যাওয়ার পরপরই ইসিতে আসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন অংশটিও। তারাও আবেদন পুনর্বিবেচনার দাবী জানায়।
বর্তমানে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৮টি। রেজা কিবরিয়ার দল পেলে হবে ৪৯টি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।