জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪ জন যাত্রীর ব্যাগ থেকে মূল্যবান সামগ্রী খোয়া যাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শাহজালাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীদের ব্যাগ খোলা অবস্থায় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় এসেছে। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসেন ওই চার যাত্রী। তাদের অভিযোগ, লাগেজ বেল্ট থেকে ব্যাগ সংগ্রহের পর সেগুলো খোলা পান তারা। ব্যাগের মধ্যে থাকা লাখ টাকার সোনার বার খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করেন ওই চার যাত্রী। বিমানবন্দরের ভেতরে তাদের আহাজারির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনার একদিন পর শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহের পর ৪ জন যাত্রীর মূল্যবান সামগ্রী লাগেজ থেকে খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়। মূলত সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক চেকিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা তল্লাশিতে এই ৪ যাত্রী ৫টি লাগেজ বহন করছিলেন। পরে উড়োজাহাজে ওঠার আগ মূহুর্তে লাগেজ ৫টির সাইজ বড় ও ওভারওয়েট হওয়ায় তা কেবিন লাগেজ থেকে হোল্ড লাগেজে স্থানান্তর করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরে লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সদস্যরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানায়। এছাড়াও র্যাম্প সিকিউরিটি সদস্যরাও ফ্লাইট অবতরণেনের পরে লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানায়। ওই যাত্রীরা লিখিত অভিযোগ করেন এবং এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরেও বিষয়টি নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কাছ থেকেও তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।