জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি ‘এমটিএফই’ নামক একটি কোম্পানি বহু যুবকের লাখ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আলোচিত ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফাইড পেজে একটি পোস্ট করেছেন। পাঠকদের সুবিধার্থে পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘এমটিএফই’ নামক একটি এমএলএম কোম্পানি লক্ষ লক্ষ যুবকের বিনিয়োগকৃত দশ হাজার কোটি টাকা বিদেশে সরিয়ে নিয়েছে, এটি পুরনো খবর। এই ধরনের এমএলএম ব্যবসা হারাম, এর মধ্যে প্রতারণার নানা ফাঁদ রয়েছে—এ বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই দেশবাসীকে সতর্ক করে আসছি। অন্যান্য ওলামায়ে কেরামও নানা সময়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন।
তিনি লিখেন, বছরখানেক আগে এসপিসি ওয়ার্ল্ড নামক একটি এমএলএম কোম্পানির ব্যাপারে আমরা হারাম ফাতওয়া দিয়েছিলাম। তখন তারা আমাদের অফিসে এসে হুমকি দিয়েছিল এবং মামলা-মোকাদ্দমার ভয় দেখিয়েছিল।
মজার ব্যাপার হলো, এর কিছুদিন পরই গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে কোম্পানিটির সিইও এবং পরিচালককে গ্রেফতার করে প্রশাসন। আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, এই সিইও এক সময় ডেসটিনি ২০০০ এর উচ্চ পর্যায়ের টিম লিডার ও প্রশিক্ষক ছিলেন।
যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পূর্বেই কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। লক্ষ লক্ষ মানুষ সর্বস্বান্ত হওয়ার পর পদক্ষেপ নিলে তার সুফল ভুক্তভোগী জনগণ পর্যন্ত পৌঁছে না। ইসলাম স্বাভাবিক পন্থায়, হালাল উপায়ে ধনী হওয়াকে উৎসাহিত করে। কিন্তু বিনা পরিশ্রমে, সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার পথ ইসলামে খোলা নেই। চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, বিনা পরিশ্রমে যারাই রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখায়, দিনশেষে তারাই গ্রাহকের বহু পরিশ্রমের অর্থ লুটে নিয়ে উধাও হয়ে যায়, তা আজ প্রমাণিত সত্য।
ওই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, প্রতারণার অসংখ্য উদাহরণ থাকার পরও আমরা যদি লোভের রাশ টেনে ধরতে না পারি, কল্যাণকামী আলেমদের পরামর্শে কর্ণপাত না করি, তবে এই ধরনের ‘হায় হায় কোম্পানিগুলোর’ রমরমা ব্যবসা চলতেই থাকবে আর সর্বস্বান্ত হয়ে আমরা শুধু হায় হায় করতে থাকব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।