আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন শান্তি স্থাপনের উপায় খুঁজে বের করতে সুইজারল্যান্ডের বার্গেনস্টকে দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। রবিবার (১৬ জুন) একটি চূড়ান্ত ঘোষণা অনুমোদনের মাধ্যমে এটি সমাপ্ত হয়। এই আলোচনায় ৯০টিরও বেশি দেশ অংশ নিয়েছিল। তবে যৌথ এই ঘোষণাটিকে সমর্থন করেছে ৮০টি দেশ ও চারটি সংস্থা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, ঘোষণাটির বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া, লিবিয়া, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৬টিরও বেশি রাষ্ট্র ও সংস্থা।
অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্য দিয়েছেন সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড। এই ঘোষণা নিয়ে ভিন্ন মতামত থাকা সত্ত্বেও তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে এক হতে পেরেছি।’
সুইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা ইউক্রেনের জনগণ ও যুদ্ধের প্রভাবে সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছে এই স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ পরিবর্তন আনতে চায়।’
চূড়ান্ত ঘোষণায় আমহার্ড তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন যেগুলো নিয়ে রাষ্ট্রগুলো কাজ করবে। প্রথমত, পারমাণবিক শক্তি ও পারমাণবিক স্থাপনার যেকোনও ব্যবহার অবশ্যই নিরাপদ, সুরক্ষিত, এবং পরিবেশের জন্য ভাল হতে হবে।
দ্বিতীয়ত, খাদ্য নিরাপত্তাকে কোনোভাবেই অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা যাবে না। বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজে ও পুরো রুটের পাশাপাশি বেসামরিক বন্দর ও বেসামরিক বন্দর অবকাঠামোর ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য।
তৃতীয়ত, সব যুদ্ধবন্দিকে অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি দিতে হবে। সব নির্বাসিত ও বেআইনিভাবে বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয় শিশু এবং বেআইনিভাবে আটক ছিল এমন অন্য সব ইউক্রেনীয় বেসামরিককে অবশ্যই ইউক্রেনে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
শান্তির প্রতিষ্ঠায় একটি ‘সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি’ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে রাশিয়া ও চীন এতে অংশ নেয়নি।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।