স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান টি-২০ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টের রহস্য উইকেটে শতরান করে থেমেছিল টাইগাররা। তাতে মনে হচ্ছিল ম্যাচটিতে সহজেই জিতবে নেপাল। তবে সেটি হতে দেয়টি টাইগার পেসাররা। বল হাতে আগুনে বোলিং করেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
সোমবার সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ বলে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানেই গুটিয়ে গেছে নেপাল। বাংলাদেশের জয় ২১ রানে। এই জয়ে গ্রুপ ডি থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
এদিন চার ওভারে মাত্র ৭ রান, ২টি মেডেন। প্রথম থেকে টানা চার ওভার। তার ক্যারিয়ার সেরা রেকর্ড চার উইকেট নিয়ে নেপালের কোমর ভেঙে দেন শুরুতেই। মন্থর পিচে এত কম রান করেও জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ। এমনটাই বলেছেন ম্যাচসেরা হওয়া তানজিম।
তিনি বলেন,‘আমরা শুধু জিনিস সহজ রাখতে চেয়েছিলাম। বিপর্যস্ত না হয়ে ভাল জায়গায় বোলিং করতে চেয়েছিলাম। আমরা এই রান ডিফেন্ড করতে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এই বোলিং আক্রমণ সুন্দর। সবাই ভালো বোলিং করেছে। ডেথ ওভারে চাপের মুখে উইকেট মেডেন বোলিং করেন মোস্তাফিজুর।’
মুস্তাফিজ নিজের শেষ ওভারে মেডেন উইকেট নেন। ৪ ওভারে দেন মাত্র ৭ রান। তানজিম-মুস্তাফিজ ৮ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৭ উইকেট। তানজিম নিজের চার ওভারে ২১টি বলই দেন ডট। বাংলাদেশসহ বিশ্বকাপে আর কোনো বোলারের এমন কৃতিত্ব নেই।
বোলিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে তানজিম বলেন, ‘আমি শুধু আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলাম এবং এটিই আমি ফোকাস করেছি। সুপার এইটে খেলতে পেরে আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত, আমরা খুব আত্মবিশ্বাসীও।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।