স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ টানা ১৯ ম্যাচ হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। ২০১৩ সালের পর আর কোনো ওয়ানডে জিততে পারেনি দলটি।
বলা হয়ে থাকে – বাংলাদেশ যখন অফ ফর্মে থাকে, তখন জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলে ফর্মে ফেরার জন্য।
আর সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩০৩ রান করেও হেরে গেল টাইগাররা। তাও কিনা জিম্বাবুয়ের দুর্বল একাদশের বিপক্ষে।
শক্তি-সামর্থ্যে এমনিতেই অনেক পেছনে জিম্বাবুয়ে। তাদের শক্তি আরও কমে গেছে চোটের থাবায়। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরে ছিটকে গেছেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তার জায়গায় এই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রেগিস চাকাভা।
চোটের কারণে দলের সেরা দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও টেন্ডাই চাতারাকেও পায়নি জিম্বাবুয়ে। ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে রয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামস।
আর এমন দুর্বল একাদশ নিয়ে বাংলাদেশকে হেসেখেলে হারাল জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের ছোড়া ৩০৪ রানের লক্ষ্য ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই পার করে দিয়েছে চাকাভার দল। ৯ বছর পর বাংলাদেশকে হারাল জিম্বাবুয়ে।
এ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন দুই সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়া। ১৯২ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতান তারা।
ম্যাচ জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সে কথাই জানালেন অধিনায়ক চাকাভা।
তিনি বললেন, স্পষ্টতই এমন একটি প্রথম জয় পাওয়া সত্যিই দারুণ আনন্দের। তবে আমি মনে করি, এ জয়ে সিকান্দার রাজা এবং কাইয়ার পুরো কৃতিত্ব। শুরুর দিকে দুটি উইকেট হারানোর পরে তারা যেভাবে ব্যাটিং করেছে তা ছিল অভিনব। আমরা দেখিয়েছি, আমরা পারি। বোলিংয়ে প্রথম ২০ ওভারে খুব ভালো করেছি আমরা। আমরা উইকেট পাইনি কিন্তু তারাও (বাংলাদেশ) আমাদের কাছ থেকে সরে যায়নি। সুতরাং আমরা (ওই রান দিয়ে) খুশি ছিলাম। ম্যাচের মাঝে দিয়ে তাদেরকে (বাংলাদেশ) রান করতে দিয়েছিলাম। আমাদের ধারণা ছিল, তারা সম্ভবত ২০ বা ৩০ রান কম করেছে।
চাকাভা বলেন, আমরা (ব্যাটিংয়ে) শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছি। লাঞ্চের সময় আমরা আলোচনা করেছিলাম যে, আমাদের কেউ একজনকে বড় ইনিংস খেলতে হবে। সেঞ্চুরি করতে হবে। কিন্তু দুটো সেঞ্চুরি পেয়েছি আমরা। আমরা এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আশা করতে পারি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।