ধর্ম ডেস্ক : ইহুদিরা জালিম শাসক ফেরাউনের নির্যাতন ও দাসত্বে জিঞ্জিরাবদ্ধ ছিল। আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.)-এর মাধ্যমে তাদের মুক্ত করেছেন। তাদের জন্য সমুদ্রে রাস্তা করে দিয়েছেন। মান্না-সালওয়া ও পানির ব্যবস্থা করেছেন। বাসস্থান দিয়েছেন। উন্মুক্ত ময়দানে মেঘমালার ছায়া দান করেছেন। তাদের বংশধর থেকে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের মতো বিশ্বজগতে আর কাউকে এত নেয়ামত দেননি।’ (সুরা মায়েদা: ২০)
তবে ইহুদিরা চরম অবাধ্য ও উচ্ছৃঙ্খল জাতি ছিল। ফেরাউনের দাসত্বের জিঞ্জির থেকে মুক্ত হতে না হতেই তারা বাছুরপূজার প্রতি আগ্রহী হয়। মুসা (আ.) আল্লাহর সান্নিধ্যে গেলে তারা বাছুরপূজা করতে শুরু করে। মান্না-সালওয়ার পরিবর্তে শাকসবজি দাবি করে বসে। এমনকি তারা আল্লাহকে প্রকাশ্যে দেখার দাবিও করে বসে।
আল্লাহ সম্পর্কে তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ও ভ্রান্ত ধারণা ছিল। তারা নিজেদের আল্লাহর সন্তান দাবি করত। আবার বলত, আল্লাহর হাত শৃঙ্খলাবদ্ধ। তিনি কৃপণ। তিনি দরিদ্র, আমরা ধনী। তারা অসংখ্য নবী-রাসুলকে হত্যা করেছে। আসমানি গ্রন্থের বিধান বিকৃত করেছে। কোরআনকে অস্বীকার করেছে। আল্লাহ তাআলা তাদের অবাধ্য, হঠকারী, উচ্ছৃঙ্খল, প্রতারক, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী ও সীমালংঘনকারী আখ্যা দিয়েছেন।
শাস্তি হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাদের বাস্তুচ্যুত করেছেন। লাঞ্ছিত ও অভিশপ্ত করেছেন। তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্রে পরিণত হয়েছে এবং তাদের হৃদয় পাষাণ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেককে বানর ও শূকরে পরিণত করা হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা লাঞ্ছিত ও দরিদ্র এবং আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হলো। কেননা তারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করত, নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত এবং তারা অবাধ্য হতো ও সীমালংঘন করত।’ (সুরা বাকারা: ৬১) লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।