জুমবাংলা ডেস্ক : জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন টাকা দাবি করেনি সোমালীয় জলদস্যুরা। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিষয়টি গণমাধ্যমের সৃষ্টি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশিদ আলম।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এডমিরাল (অব.) খুরশিদ আলম এ তথ্য জানান। এ সময় ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে গণমাধ্যমগুলোকে বিরত থাকতেও অনুরোধ করেন তিনি।
খুরশিদ আলম বলেন, ‘এ পথে চলতে গিয়ে গত ২৪ বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ জাহাজ অপহৃত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই শান্তিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে আনা গেছে। আমরা আগের প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) খুরশিদ আলম বলেন, জাহাজের বিমাকারী সংস্থা এবং সোমালিয়ায় দস্যুদের বিষয়ে জানানোর সংস্থা ‘সোমালিয়ান পাইরেটস রিপোর্টিং’ গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের। এছাড়াও বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
এ সময় তিনি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন টাকা দাবি করেনি সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিষয়টি গণমাধ্যমের সৃষ্টি। আমরা এখনো জানিনা তাদের কী দাবি-দাওয়া।’
এর আগে, অপহৃত জাহাজটি সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম। বলেন, ধারণা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই জলদস্যুরা বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।,
মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টার দিকে জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল; গন্তব্য ছিল দুবাই।
জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। এতে কার্যত বিনা বাধায় জাহাজটিকে নিয়ন্ত্রণে নেয় দস্যুরা। যার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের ২৩ নাবিককে।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকে এমটিও) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে এ ঘটনা ঘটেছে। দুটি নৌযানে (একটি বড় এবং আরেকটি ছোট) চড়ে জাহাজটির কাছাকাছি এসে জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ইউকে এমটিও সমুদ্রে চলাচলকারী অন্য জাহাজগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে বলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।