জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে গভীর রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। লাগাতার আন্দোলনের মধ্যেই তদন্তের জন্য সময় চেয়েছেন বুয়েট উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।
শনিবার বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ৮ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে আমরাও সহমত। কিন্তু এগুলো পূরণে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সময় প্রয়োজন।’
শৃঙ্খলা কমিটির সভার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন লাগবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া শৃঙ্খলা কমিটি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এভাবে শাস্তি দেওয়া হলে আদালতে গিয়েও টিকবে না। ফলে তদন্ত লাগবে এবং তদন্তে অভিযুক্তকেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। আমাদের আইন ও নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আজকে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। ছয় সদস্যের এই কমিটিকে আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এর সদস্যদের মতামতও আমরা শুনব।’
এর আগে ছাত্ররাজনীতি ইস্যুতে দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার আবারও উত্তাল ছিল বুয়েট। পুরকৌশল বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ছয়জনের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার সকালে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৯ সালে আবরার হত্যার পর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। সে নিষেধাজ্ঞা না মেনে বুধবার রাতে কিছু ছাত্রলীগ নেতা–কর্মী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালান। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হয়েছে বিক্ষোভ।
দাবি আদায়ে রোববার পর্যন্ত পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্রলীগ কর্মীদের প্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে আবরার ফাহাদ নামের এক শিক্ষার্থীকে ২০১৯ সালে বুয়েটের হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সবাই ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতা-কর্মী ছিলেন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।