লাইফস্টাইল ডেস্ক : কুরবানির ঈদে সবারই কম-বেশি মাংস খাওয়া হয়। এই সময় টানা কয়েকদিন মাংস খাওয়ার কারণে দাঁতের ফাঁকে কখনো মাংস জমে যায় কিংবা মাড়িতে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
দাঁতের ফাঁকে মাংস জমা বা মাড়িতে ব্যথা হলে ভয়ের কিছু নেই। ডেন্টিস্টরা বলে থাকেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে বা অন্য কোনো কারণে দাঁতের মাঝে স্বাভাবিক সংযোগ কেন্দ্র নষ্ট হয়ে তাকে। এতে যেকোনো ধরনের খাবার, বিশেষ করে মাংস ঢুকে ব্যথা হয়।
ঈদুল আজহায় কুরবানির মাংস চিবিয়ে খাওয়ার সময় মাংসের আঁশ সহজেই দাঁতের ফাঁকে প্রবেশ করে। এ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা অস্বস্তি বা হালকা ব্যথা অনুভব হয়। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে টুথ পিক, পিন, কাঠি বা হাতের কাছে থাকা কোনো শক্ত জিনিস দিয়ে দাঁত পরিষ্কারের চেষ্টা করা হয়। এতে মাড়িতে ব্যথা ও সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। একই সঙ্গে দাঁতের মাঝে ফাঁকাও বেড়ে যায়। যা থেকে পেরিওপকেট নামক স্থান তৈরি হয়ে দাঁতের কলা বা পেরিওডোন্টাল রোগের শুরু হয়।
এক সময় মাড়ি ফুলে যাওয়া, রক্তপড়া, দুর্গন্ধ, ব্যথা, দাঁত শিনশিন ও দাঁত নড়ে যাওয়াসহ একাধিক সমস্যার শুরু হয়। কখনো কখনো দাঁতের মাঝে টুথপিকের অংশ ভেঙে থেকে যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা তৈরি করে।
ফিলিং বা ক্যাপ খুলে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। আবার টুথপিক ব্যবহারে এল ৯২৯ বৃদ্ধিতে ফাইব্রোব্লাস্ট তৈরি হয়ে ক্যানসারে রূপান্তর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।
অনেকে আবার টুথ ব্রাশ দিয়ে জোরে ব্রাশ করার মাধ্যমে খাবার বের করার চেষ্টা করেন। এতে বরং পাল্টা দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সাধারণ টুথ ব্রাশ ব্রিসল দাঁতের মাঝের স্থান পরিষ্কার করতে পারে না। টুথ ব্রাশ দাঁতের মাত্র ৭০ শতাংশ পরিষ্কার করতে সক্ষম।
এবার তাহলে দাঁতে মাংস বা খাবার আটকালে করণীয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। সাধারণত দাঁতের ফাঁকা জায়গা পরিষ্কারের সঠিক মাধ্যম হচ্ছে বাজারজাত ডেন্টাল ফ্লস নামক বিশেষ সুতা বা ইন্টার ডেন্টাল ব্রাশ। দাঁতে মাংস বা খাবার আটকে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকলে এটি সংরক্ষণে রেখে দিতে পারেন। তবে এর ব্যবহারের নিয়ম জানা না থাকলে নিজে নিজে চেষ্টা করবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার শুরু করুন।
এছাড়া জীবাণুনাশক মাউথ ওয়াশ ব্যবহারেও উপকারিতা পাওয়া যায়। এক শতাংশ পোভিডন আয়োডিন, ক্লোরহেক্সিডিন বা Dl&T পানিতে লবণ মিশিয়ে খাওয়ার পর ভালো করে কুলকুচি করে নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত, যারা আগে থেকেই দাঁত বা মাড়গত সমস্যা ভুগছেন তারা অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তা না হলে বড় কোনো সমস্যার মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।