লাইফস্টাইল ডেস্ক : ধীরে ধীরে নামছে শীত। ছোট বড় সকলেই এই সময়টা উপভোগ করতে ব্যস্ত। তবে কথায় আছে কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। আর এই কথাটা একদম খাটে বাতের অসুখে ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রে।
কারণ শীত পড়তেই এই রোগে ভুক্তভোগীদের ব্যথা-বেদনা বাড়তে শুরু করেছে। ফুলছে জয়েন্ট। যার ফলে তাদের কাছে শীত মানেই দুর্বিষহ।
আজকের প্রতিবেদনে জানাব ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে চললে শীতের দিনেও সুস্থ থাকতে পারবেন বাতের সমস্যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কেন বাড়ে বাতের সমস্যা?
শীত পড়লে বাতের ব্যথা বাড়বেই। তাপমাত্রা কমলে শরীর অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। বিশেষত যেই নার্ভগুলো ব্রেনে ব্যথার সংকেত পৌঁছে দেয়, তারা অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সেই সুবাদে বাতের ব্যথা বাড়ে। তবে শুধু আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণাই নয়, যে কোনো ধরনের ব্যথাই এই সময় বাড়ে। তাই সাবধান হতে হবে। আগে থেকে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
এখনও তেমন একটা ঠান্ডা পড়েনি।
তাই এই সময় একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা খুলে বলুন। তিনি নিশ্চিত ভাবে আপনার কথা শুনে ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দেবেন বা নতুন ওষুধ দেবেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সময় চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। এই ধরনের ওষুধ খেলে ব্যথা, বেদনা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে। ফলে অনায়াসে সুস্থ-সবল জীবন কাটানো যায়। তাই সবার প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সেক দিন
এই সময় অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যথার জায়গায় গরম সেক দিতে হবে। তাতে ব্যথার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে। কারণ, গরম সেক দিলে জায়গাটায় রক্ত চলাচল বাড়ে। আর রক্ত চলাচল বাড়ার সুবাদে ব্যথাও কমে। তাই প্রতিদিন দিনে ২ বেলা অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট করে গরম সেক দিন। তাতেই সমস্যাকে কাবু করে ফেলতে পারবেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
গরম পানিতে গোসল
আমাদের মধ্যে অনেকেই শীতেও ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন। তারা ভাবেন ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেই বুঝি শরীর ভালো থাকবে। তবে ভুলেও এই সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করবেন না। তাতে ব্যথা-বেদনা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে পারে। তার বদলে গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। তবে গরম পানি মাথায় না ঢালতে চাইলে ঢালবেন না। কিন্তু গায়ে গরম পানি দিতেই হবে। তাতেই সমস্যাকে বশে রাখতে পারবেন।
ব্যায়াম
শীত পড়তেই অনেকে ব্যায়াম থেকে দূরে থাকেন। যার ফলে ব্যথা-বেদনা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সবার প্রথমে ব্যায়াম করা শুরু করুন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক ঠিক যেই ব্যায়ামগুলো করার পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো নিয়ম করে করুন। তাতেই সমস্যাকে বশে রাখতে পারবেন। ব্যথা-বেদনা বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না।
সূত্র : এই সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।