লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল আঁচড়াতে গিয়ে সিঁথি বড় হয়ে যাওয়া বা চুলের গোছা কমে যাওয়ার মতো বিষয় চোখে পড়লে হতাশ লাগে বেশ। চুল পড়া নিয়ন্ত্রণযোগ্য হতে পারে, আবার বিভিন্ন কারণেও এটি আটকানো অসম্ভবও হয়ে যেতে পারে। আমেরিকার সিনিয়র প্রিন্সিপাল হেয়ার কেয়ার সায়েন্টিস্ট রব স্মিথ চুল পাতলা হওয়ার কারণ এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার কার্যকর কিছু উপায় সম্পর্কে জানিয়েছেন।
চুলের বৃদ্ধি চক্রের চারটি পর্যায়
অ্যানাজেন: যা দুই থেকে আট বছর স্থায়ী হয়। চক্রের এই প্রথম পর্যায়ে চুল সক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। চুলের গোড়ার কোষগুলো চুলের খাদকে যুক্ত করে। মাথার ৮০-৯০ শতাংশ চুল অ্যানাজেন পর্যায়ে থাকে।
ক্যাটাজেন: সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ দীর্ঘ, ক্যাটাজেন ফেজ একটি সংক্ষিপ্ত পর্যায় যা অ্যানাজেন পর্বের শেষে ঘটে। চুলের স্ট্র্যান্ড তার রক্ত সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷
টেলোজেন: দুই থেকে তিন মাস স্থায়ী হয় যেখানে চুল বাড়ে না বা পড়ে না।
এক্সোজেন: এই পর্যায়ে চুল পড়ে যায়। দুই থেকে পাঁচ মাস স্থায়ী হতে পারে এই চক্র। গড়ে মানুষ প্রতিদিন ৫০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত চুল হারাতে পারে।
চুল পড়ে কেন?
গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সক্রিয় বৃদ্ধির পর্যায়ে চুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যা অ্যানাজেন নামে পরিচিত। জন্মের পরে, হরমোনের পরিবর্তনের ফলে ফলিকলগ ক্যাটাজেন বা টেলোজেন অবস্থায় চলে যেতে পারে, যার ফলে গর্ভাবস্থার পরে চুল পড়ে যায়।
মানসিক চাপ: শোক বা মানসিক চাপের কারণে চুলের ফলিকলের বৃদ্ধি আটকে যেতে পারে। এতে নির্দিষ্ট সময় পর ঝরতে শুরু করে চুল।
বয়স বাড়লে: শরীরের বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুলের বৃদ্ধির হার ধীর হয়ে যায় এবং পড়ে যেতে পারে চুল।
অসুস্থতা: অসুস্থতার সময় চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। কিছু রোগের চিকিৎসার সময়েও চুল স্বাভাবিকের চাইতে বেশি পড়তে পারে।
বংশগত চুল পড়া: চুল পড়ার একটি প্রতিষ্ঠিত কারণ হল জেনেটিক্স, যেখানে চুল পড়া কোনও রোগের ফল নয়। বরং বংশগত জিন, হরমোনের মাত্রা এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়ার প্রাকৃতিক সংমিশ্রণ।
হরমোনের প্রভাব: চুলের চক্র এবং চুলের ফলিকল গঠন বিভিন্ন হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে এন্ড্রোজেন যেমন টেস্টোস্টেরন, যৌন হরমোন যেমন এস্ট্রাডিওল, থাইরয়েড হরমোন যেমন থাইরক্সিন এবং কর্টিসল যা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত হয়।
চুলের পাতলা হয়ে যাওয়া আটকাবেন কীভাবে?
স্বাস্থ্যকর এবং সুষম ডায়েট পরিকল্পনা মেনে চলুন।
জীবন থেকে স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন।
ধ্যান এবং ম্যাসেজের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলো গ্রহণ করতে পারেন।
কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখুন।
স্বাস্থ্যগত ঘাটতি থাকলে সেটা পূরণের চেষ্টা করুন।
কোনও শ্যাম্পু বা চুল পাতলা করার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করতে আগ্রহী হলে, প্রথম ধাপ হলো সমস্যার উৎস শনাক্ত করার চেষ্টা করা, কেন আপনার চুল ঝরে যাচ্ছে তা নির্ধারণ করা।
পেঁয়াজের রস মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ কমবে।
মেহেদি পাতা বেটে মাথায় লাগানো যেতে পারে। এতেও চুলের গোড়া মজবুত হয়।
চুলের আগা ফেটে গেলে ছেঁটে ফেলুন।
ব্লিচিং বা ডাই বেশি করবেন না চুলে।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।