বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কম্পিউটার সুরক্ষায় আমরা অনেক কিছুই অবলম্বন। কিন্তু সঠিক উপায় কজন জানেন? সাধারণত ছোট কোনো কারণে কম্পিউটারে নানা সমস্যা দেখা যায়। সেগুলো না বুঝে নিজের মতো করে যত্ন করাও বিপদের কারণ হতে পারে।
কম্পিউটারের সুরক্ষায় প্রাথমিকভাবে পাঁচটি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। সেগুলো নিম্নরূপ:
তাপমাত্রা
সাধারণত আমরা খেয়াল করি না কম্পিউটারের ভিতরে কী চলছে। দুয়েক বছরের পুরনো কম্পিউটারের প্রসেসরের ওপর যে কুলার থাকে সেটিতে ধুলো জমে কুলিংয়ের কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তা ছাড়া ফ্যানের নিচে আর প্রসেসরের মাঝে যে থার্মাল পেস্টের লেয়ার থাকে সেটি শুকিয়ে গেলে সিপিইউ থেকে তাপ কুলার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না।
এখন থেকে কম্পিউটার চালিয়ে এইচডব্লিউ মনিটর (HW Monitor) নামেও সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝে খেয়াল করে দেখুন— কম্পিউটার যখন চালু করছেন, আর যখন খুব কাজ করছেন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত। যদি দেখেন সাধারণ ভাবে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৭৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, খুব একটা চিন্তার কারণ নেই। তাপমাত্রা যদি তার থেকে বেড়ে যায়, ভালো করে ভেতরের ধুলো পরিষ্কার করুন। অনেক ক্ষেত্রে এতেই কাজ হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও না হলে থার্মাল পেস্ট পাল্টাতে হতে পারে। নিজে না পারলে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন।
হার্ড ডিস্ক স্লো
কম্পিউটার চালু হতেই অনেক সময় নিচ্ছে? অথবা সামান্য একটা ফাইল খুলতে গেলে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে? ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, আপনার ল্যাপটপ/পিসির হার্ড ডিস্কের স্পিড কত আরপিএম। যদি সেটা ৫ হাজার ৪০০ রোটেশন প্রতি মিনিট হয়, তবে তা সাধারণ ৭ হাজার ২০০ আরপিএম হার্ড ডিস্কের থেকে স্লো হবে। তাই এটি কেনার আগে খেয়াল রাখতে হবে।
যদি ৭ হাজার ২০০ আরপিএমের হার্ড ডিস্ক আগের চেয়ে স্লো হয়ে যায়, সেটাকে ডিফ্র্যাগ করুন। এতে হার্ড ডিস্কের তথ্য একটা নির্দিষ্ট অংশে থাকবে। ফলে আপনি যখন কোনো ফাইল খুঁজবেন, অনেক তাড়াতাড়ি পাবেন, খুলে ব্যবহার করতে পারবেন। যদি নতুন কম্পিউটার হয়ে থাকে, তাতে শুরুতেই বায়োস সেটিংস (BIOS Settings) ব্যবহার করে ফাস্ট বুট চালু করে দিন, উইন্ডোজ চালু হবে আরও তাড়াতাড়ি।
র্যামের যথাযথ ব্যবহার
৮ জিবি র্যাম থাকার পরও সামান্য কিছু ট্যাব খুলতেই প্রায় অর্ধেক র্যাম ভরে যাচ্ছে, তার পর ছবি বা ভিডিও এডিটের মত কাজ করার কোনো উপায় থাকছে না? এ ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে কম্পিউটার চালু হতেই কোন কোন সফটওয়্যার চালু হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক সফটওয়্যার চালু হয়ে যায়। টাস্ক ম্যানেজার থেকে দেখুন স্টার্ট আপে কী কী সফটওয়্যার চালু হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় সবকটি সফটওয়্যার বন্ধ করুন। দেখুন অটো আপডেটে কী কী সফটওয়্যার রয়েছে, যার জন্যে আপনার কম্পিউটার এবং নেট স্লো হয়ে যেতে পারে, সব বন্ধ করুন। ম্যানুয়ালি আপডেট করুন নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী। ক্যাশ মেমরি ও টেম্প ফাইল, জাঙ্ক ফাইল নিয়মিত ক্লিয়ার করুন। শুধু র্যাম নয়, কম্পিউটারও ফাস্ট হবে। সি-ক্লিনার (C Cleaner) এ রকমই একটা সফটওয়্যার- সব কাজ একটা ক্লিকে করে দেবে।
প্রয়োজনীয় আপডেট
সাধারণত কোনো আপডেট দেখলেই সেটা ‘রিমাইন্ড মি লেটার’ করে রাখি আমরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এটা শুধু দরকারি তাই নয়, আপনার কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখার জন্যও এটা ভালো। তাই আপনার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলি আপডেট করে রাখুন।
ক্লিন ফরম্যাট
ডেস্কটপ ভর্তি আইকন, ফাইল, হার্ড ডিস্ক প্রায় ভর্তি, এ রকম অবস্থায় কম্পিউটার আগের চেয়ে স্লো চলবে। একটা হার্ড ডিস্কে সবগুলো ফাইলের ব্যাকআপ নিয়ে ক্লিন ফরম্যাট করুন। এতে আপনার পিসি ভালো থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।