জুমবাংলা ডেস্ক : সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আলোচিত এই সংশোধনীটির মাধ্যমে সংবিধানে আনা হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠনের দুই বছর পর ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়।
এই সংশোধনীতে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসাবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়। আর সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা হয়।সেই সাথে এই সংশোধনীর মাধ্যমেই শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
২০১১ সালের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সর্ম্পকিত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরও দু’টি সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে রায় দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই ব্যবস্থায় আর কোন নির্বাচন করার সুযোগ না রেখে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। ফিরিয়ে আনা হয় রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা।
নবম জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিলটি তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সংসদে এনেছিলেন ২০১১ সালের জুন মাসে। তখন সংসদে একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিম বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। আর পক্ষে ভোট পড়েছিল ২৯১টি। সংশোধনীটি পাসের সময় বিএনপি-জামায়াতের সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ১৯ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ড. তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, মো: জুবায়েরুল হক ভূঁইয়া ও জাহারা রহমানের করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র পক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।