ধর্ম ডেস্ক : সঠিক নিয়মে দোয়া করতে পারলে আল্লাহ কবুল করেন। রাসুল সা. দোয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করেছেন। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি দোয়ায় মগ্ন হতেন।
আল্লাহ তাআলা যেকোনো সময় দোয়া কবুল করেন। তবে হাদিসে কিছু বিশেষ সময়ের কথা উল্লেখ রয়েছে, যখন দোয়া করলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া
রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (আবু দাউদ)
সেজদার মাঝের দোয়া
রাসূল সা. বলেছেন, যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায়, তাহলো সেজদার সময়। সুতরাং তোমরা তখন আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও। (মুসলিম, হাদিস : ৭৪৪)
ফরজ নামাজের পরে দোয়া
সাহাবি হজরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা.-কে জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি বলেন, রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পরে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪২১)
রাসুল সা. দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে- বান্দার যে দোয়ায় আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান এবং রাসুল সা. উপর দরূদ ও সালামের সঙ্গে পেশ করা হয়, তা কবুল হয়।
হযরত ফোজালা রা. বলেছেন যে, রাসুল সা. মসজিদে অবস্থান করছিলেন। এ অবস্থায় এক ব্যক্তি এসে নামাজ পড়ল, নামাজের পর সে বলল-
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন।’
রাসুল সা. এটা শুনে তাকে বললেন- তুমি আবেদন পেশ করতে তাড়াতাড়ি করেছ। যখন নামাজ পড়ে বসবে তখন প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করবে, তারপর দরূদ পাঠ করবে, অতপর দোয়া করবে। তিনি এ কথা বলছিলেন এ অবস্থায় দ্বিতীয় এক ব্যক্তি এলো। সে নামাজ পড়ে, আল্লাহর গুণগান ও প্রশংসা বয়ান করল, দরূদ পাঠ করল। রাসুল সা. বললেন, ‘এখন দোয়া কর, দোয়া কবুল হবে।’ (তিরমিজি)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।