বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের মোটরসাইকেলপ্রেমীদের জন্য সুখবর! দেশের বাজারে আসছে ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল। শিগগিরই ৩৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন বাইকপ্রেমীরা। কেননা, এই ক্ষমতাযুক্ত ইঞ্জিনের বাইক চালানোর অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতদিন ১৬৫ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল চালানোর অনুমোদন ছিল না বাংলাদেশে। কিন্তু এবার ৩৫০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। তবে, এখনই উচ্চ ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আসছে না বাংলাদেশে।
যারা এই ধরনের বাইক চালাতে চাইছেন তাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর জুলাই মাসে এই মানের বাইক বাজারে আসবে।
আগামী বছরের জুলাই মাসের আগে রয়েল এনফিল্ডের মতো ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে আসছে না। এই অনুমতি দেওয়ার ফলে খুশি বাংলাদেশের বাইকপ্রেমীরা।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের বাইক চালানোর অনুমতি দেওয়ার দাবি করা হচ্ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা এখানে ৩৫০ সিসি মোটরসাইকেল উৎপাদন এবং বিক্রি করার অনুমতি দেব। এখন থেকে এইসব উচ্চ ইঞ্জিনক্ষমতাযুক্ত মোটরসাইকেল বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল করতে পারবে।’
ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে ১৬৫ সিসির বেশি ইঞ্জিনযুক্ত মোটরসাইকেল স্থানীয় বাজারের জন্য তৈরি বা আমদানি করা যায় না। তবে মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী নির্মাতারা ৫০০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিনযুক্ত মোটরসাইকেল রফতানি করতে পারেন। কিন্তু এই বাইক চালানোর অনুমতি ছিল না বাংলাদেশে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ট্রেড ও ট্যারিফ কমিশন সিসির এই সীমাকে ৩৫০এ উন্নীত করার সুপারিশ করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী পুলিশ এবং অন্য বাহিনীর সদস্যরাও উচ্চ ইঞ্জিনক্ষমতাসম্পন্ন বাইক পাবেন। যাতে অপরাধীরা তাদের কাছে থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন সেই জন্য তাদেরকেও এই রকম বাইক দেওয়া হবে।’
যদিও বাংলাদেশের রাস্তায় এই রকম বাইক চলাচল কতটা উপযোগী তা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, বাইকের ইঞ্জিন ক্ষমতার সঙ্গে এর গতিবেগের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের পরিবেশক ও উৎপাদন অংশীদার এসিআই মোটরসের ম্যানেজিং ডিরক্টর এফএইচ আনসারি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তবে এই ধরনের মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায় আমদানি করা যাবে না। শুধু বিদেশ থেকে ‘বিযুক্ত অবস্থায়’ (সিকেডি) আমদানি করে দেশের কারখানায় সম্পূর্ণ করার পরেই বাজারজাত করা যাবে।’
ইফাদ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান তাসকিন আহমেদ জানান, তাদের আশা যে আগামী বছরের জুন থেকে রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট, মিটিওর, হান্টার ও ক্লাসিক এই ৪টি মডেল বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।