বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : অ্যাজটেকা পিঁপড়া সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা আগে এমন তথ্য জানতেন না। এখন দেখা গেছে, এই পিঁপড়ারা সিক্রোপিয়া গাছের ক্ষত সারিয়ে দেয়। এই গাছের গুঁড়ির ভেতরে বাসা বাঁধে পিঁপড়ারা। গাছ যত বড় হয়, তাদের থাকার জায়গাও তত বাড়ে।
পিঁপড়ারা গাছকে তৃণভোজীদের হাত থেকে রক্ষা করে।
স্মিথসোনিয়ান ট্রপিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী উইলিয়াম উইসলো বাড়িতে একটি সিক্রোপিয়া গাছ রাখেন। একদিন তাঁর দুই ছেলে খেলতে গিয়ে গাছের গুঁড়ির একাংশে ফুটা করে ফেলে। পরের দিন দেখা যায়, গাছের সেই ক্ষতটি ঠিক হয়ে গেছে।
তাঁরা আরো পরীক্ষা করে দেখেন, পিঁপড়ারা ফুটা হয়ে যাওয়া জায়গাগুলি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করার চেষ্টা করে। এক একটি দলে সাত থেকে ১০টি পিঁপড়া থাকে, কিছু পিঁপড়া বাইরে থেকে এবং কিছু ভেতরে থেকে কাজ করে। তারা গাছের তন্তু ব্যবহার করে ছিদ্রগুলি বন্ধ করে এবং তারপর তন্তুর প্রলেপ লাগায়। গাছটি নিজেও পরবর্তী সময়ে নিজের তন্তু দিয়ে সেই জায়গাগুলি ঢেকে ফেলে।
পিঁপডারা নিজের শরীর থেকে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক নিঃসরণ করে ক্ষত সারায় কি না, তা নিয়ে উইসলো আরো গবেষণা করতে চান।
পিঁপড়েদের এই আচরণ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র কয়েক দিন আগে ‘জার্নাল অব হাইমেনোপ্টেরা রিসার্চ’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।