আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘অভিশপ্ত’ শব্দটা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে- ভয়, ভূত কিংবা পরিত্যক্ত কোনও জায়গা। ফলে বিশেষণটিকে কোনওভাবেই বিজ্ঞান দ্বারা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আর যা কিছুই অভিশপ্ত, সেগুলিতে সব সময়ই রহস্য খোঁজার চেষ্টা করেন বিজ্ঞানী বা প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এবার তেমনই একটি ‘অভিশপ্ত’ সমাধির রহস্য ভেদ করতে চেয়েছিলেন এক দল প্রত্নতাত্ত্বিক। হাজার হাজার বছরের পুরনো কফিন। আর সেটিকে ঘিরে একটি বিশাল সমাধি ছিল। সেটিকে এবার খুলে ফেললেন এক দল প্রত্নতাত্ত্বিক। ২০০০ বছরের পুরনো কালো কফিন থেকে কী বেরিয়েছে, তা দেখলে আপনি চমকে উঠবেন। এমনকি খোলার সঙ্গে সঙ্গে তার ভিতরের দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন তারাও।
মিশরের প্রত্নতত্ত্ব মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিকরা ‘অভিশপ্ত’ কফিন সম্পর্কে বারবার সতর্কতা জারি করলেও তা উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় এক দল প্রত্নতাত্ত্বিক। ল্যাডবাইবেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, অবশেষে ২০০০ বছরের পুরনো এই বিশাল কালো গ্রানাইট কফিনটি এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বড় কফিন, যার দৈর্ঘ্য ২.৫ মিটার (প্রায় নয় ফুট)। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন, যে কফিনটি মিশরের টলেমাইক যুগের (৩২৩-৩০ খ্রিস্টপূর্ব), আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের মৃত্যু এবং রোমান আক্রমণের মধ্যবর্তী সময়কালের। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কফিন দেখে মনে হচ্ছে এটি আগে কখনও খোলা হয়নি। তবে যেমনটা সাধারণত ফিল্মে দেখানো হয় যে, কফিন খোলার সঙ্গে সঙ্গে অশুভ আত্মা বেরিয়ে আসে। এমনটা কিন্তু একেবারেই হয়নি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা যখন এই কফিনটি খুললেন, তখন তা থেকে আঠালো এবং কর্দমাক্ত কিছু জিনিস বেরিয়ে আসে। সঙ্গে ভয়াবহ কিছু কঙ্কাল।
খবরে বলা হয়েছে, কফিনের ভেতরে তিনটি কঙ্কাল ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদ শাবান আবদেল মোনেইম জানান, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ওই সব কঙ্কাল পুরুষের। তার মধ্যে একটি কঙ্কাল সম্ভবত কোনও সেনা বা পুরোহিতের হতে পারে। তবে এটি যে কোনও রাজা বা সম্রাটের কফিন নয়, তা বোঝা গিয়েছে। কারণ এতে কোনও শিলালিপি পাওয়া যায়নি। এই কফিন এবং এর ভিতরে থাকা কঙ্কালগুলি আরও গবেষণার জন্য আলেকজান্দ্রিয়া জাতীয় জাদুঘরে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।