লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘুম সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি। কিন্তু অনেকেই ঘুম নিয়ে নানা রকম সমস্যায় ভোগেন। অনেক চেষ্টা করেও ঘুম আসে না অনেকের, কেউ আবার কাজ করতে করতেই ঘুমে ঢুলে পড়েন। আসলে ঘুমের বিষয়টি নির্ভর করে হরমোন এবং সার্কাডিয়ান চক্রের জটিল পারস্পরিক ক্রিয়ার উপর। যে জৈবিক চক্রের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা দেহের জৈবিক প্রক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় সার্কাডিয়ান চক্র বলে। আর এই প্রক্রিয়াতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত কর্টিসল হরমোন।
এই হরমোন একদম ঘড়ি ধরে চলে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কখন মানুষ বেশি সজাগ থাকবে, কখন বিশ্রামে থাকবে কিংবা কখন ঘুম আসবে, তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয় এই হরমোনের দ্বারা। এই হরমোন সার্কাডিয়ান চক্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করে। যখনই এই ছন্দ বা চক্র ব্যাহত হয় তখনই ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণভাবে সকাল ৮ টা নাগাদ এই হরমোনের পরিমাণ দেহে সবচেয়ে বেশি থাকে। ফলে দেহ অত্যন্ত সজাগ হয়ে ওঠে। মধ্যরাতে সবচেয়ে কম থাকে এই হরমোনের পরিমাণ। তাই মধ্যরাতে সবচেয়ে বেশি ঘুম পায়। মধ্যরাতের পর থেকে আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে কর্টিসলের পরিমাণ। তাই ভোরের দিকে ক্রমশ পাতলা হতে থাকে ঘুম। সময় মতো ঘুমোতে না গেলে এই চক্র বিঘ্নিত হয়। অস্বাভাবিক সময়ে কর্টিসলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়। তাতে উদ্বেগ বাড়ে। আবার উদ্বেগ বাড়লে বাড়ে কর্টিসল। সব মিলিয়ে সামগ্রিক ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।