জুমবাংলা ডেস্ক : বৃষ্টি আজ-কালের মধ্যে নয়, হতে পারে আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে অর্থাৎ বুধ কিংবা বৃহস্পতিবারের দিকে। ওই বৃষ্টিতেই কমবে তাপমাত্রা। তীব্র তাপে অতিষ্ট জনজীবন। ঘরে-বাইরে সমান গরম। মাথার ওপর রোদ থাকলে তো কথাই নেই। তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিনই। অধিকাংশ মানুষের মনেই প্রশ্ন, বৃষ্টি হবে কবে?
অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জানিয়েছে সম্ভাবনার কথা। চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা যেদিন ৪১ দশমিক ৭ আর রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেদিনই বৃষ্টির খবর দিল প্রতিষ্ঠানটি।
তবে বৃষ্টি আজ-কালের মধ্যে নয়, হতে পারে আগামী সপ্তাহের শেষ দিকে অর্থাৎ বুধ কিংবা বৃহস্পতিবারের দিকে। ওই বৃষ্টিতেই কমবে তাপমাত্রা।
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা বা ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তবে পাঁচদিন অর্থাৎ আসন্ন সপ্তাহের শেষ দিকে দেশের উত্তরপূবাঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্য এলাকার ওপর দিয়েও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
বৈশাখের প্রথমদিন রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মধ্য দুপুরের এমন তাপে ও রোদে পুড়েছেন নগরবাসী। সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২০ দশমকি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দুপুরে ঢাকায় যে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৯৬০ সালের পরে এটা ঢাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই বছরের এপ্রিলে ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি।
শুধু ঢাকা নয় মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে প্রায় পুরো দেশই। সঙ্গে বইছে উষ্ন হাওয়া। ঘরে-বাইরে অস্বস্তিতে কাটছে মানুষের। সূর্যের তাপে বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে বেড়েছে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দিসহ নানা রোগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।