বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের শাকিব খান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সম্প্রতি তিনি দেশটির গ্রিনকার্ডও পেয়েছেন। এতে তাঁর অনুভূতি ও কাজের খবর তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ।
অবশেষে মার্কিন মুল্লুকে স্বপ্নের গ্রিনকার্ড পাওয়া হলো, দেশে ফিরছেন কখন?
হুম, স্বপ্নের গ্রিনকার্ড পাওয়া হলো, আসলে ২০২০ সালে করোনাকালের আগেই আমার গ্রিনকার্ডের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। করোনার কারণে এটি পেতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। এবার আমার দেশে ফেরার পালা। ২১ বা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ফিরছি ইনশা আল্লাহ।
‘দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হচ্ছেন’ বলে খবর এখনো চাউর আছে, কী বলবেন?
এমন ভিত্তিহীন খবরে আমি বিরক্ত আর বিব্রত। আমেরিকার ‘গ্রিনকার্ড’ দেশটির সরকার সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন দেশের সেলিব্রেটিদের দিয়ে থাকে। এই সম্মানটা সবাইকে দেওয়া হয় না। কভিডের আগে দেশে থাকতে অন্য প্রক্রিয়ায় আমার গ্রিনকার্ড ঠিক হয়েছিল। তার মানে তো এই নয় যে, আমি আমার দেশ ছেড়ে দিচ্ছি। এখানে এসে শুধু গ্রহণের প্রক্রিয়া ছিল। বাংলাদেশের অনেক টপ মোস্ট সেলিব্রেটি আগে থেকে গ্রিনকার্ড পেয়েছেন। তাঁরা বাংলাদেশে বাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। বলিউডের বহু সেলিব্রেটির ‘গ্রিনকার্ড’ করা। তাঁরা ইন্ডিয়ায় বসবাস করে নিয়মিত কাজ করছেন। তাহলে আমার এ বিষয় নিয়ে এত কথা উঠছে কেন? কিছু মানুষ সবসময় অপব্যাখ্যা দিয়ে থাকে, বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। যাঁরা আমার যুক্তরাষ্ট্রে থাকা নিয়ে নানা কথা বলছেন, তাঁরা আসলে এই প্রক্রিয়া না জেনেই কথা বলছেন।
এসব গুজবকে কীভাবে দেখেন?
আসলে এমন পরিস্থিতিতে শ্রদ্ধেয় প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাক সাহেবের কথা মনে পড়ে। তিনি আমাকে বলতেন, ‘দেখ বাবা, ঝড়ঝাপ্টা সবসময় বড় গাছের ওপর দিয়েই যায়, নিজের এমন পরিস্থিতিতে মন খারাপ করিও না। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা কর।’ আসলেই কথাটা সত্য। তাই আমি সবসময় চুপচাপ থেকে নিজের কাজকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছি। নিজের মতো এগিয়ে গিয়েছি। বহু অপব্যাখ্যা, অবান্তর, গুজব আমাকে নিয়ে ছড়িয়েছে। এগুলো কখনই তোয়াক্কা করিনি। দিনশেষে মানুষ জেনেছে আমি ঠিক ছিলাম। আমার স্বপ্নটা অনেক বড়। সেই স্বপ্ন পূরণে এতদূর এসেছি। মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া আজ আমাকে এতদূর পৌঁছে দিয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি। আগামীতেও এই ভালোবাসা সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাব।
দীর্ঘ সময় পর ঈদুল আজহায় আপনার নতুন ছবি মুক্তি পায়নি, কী বলবেন?
এটি আমার ও দর্শক-ভক্তদের জন্য কষ্টের হলেও পাশাপাশি আনন্দের খবর হলো ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া আমার ‘গলুই’ ছবিটি এই ঈদে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে মুক্তি পেয়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আবারও ঈদের সেরা ছবি হয়েছে আমার ছবি। এই আনন্দ আমার ও আমার দর্শক-ভক্তদের।
যুক্তরাষ্ট্রে আপনার প্রযোজিত ‘রাজকুমার’ ছবির কাজ কখন নাগাদ শুরু হচ্ছে?
শিগগিরই শুরু হবে। এখন প্রি-প্রোডাকশনের কাজ, লোকেশন দেখা, স্ক্রিপ্ট চূড়ান্ত করা- এসব এগিয়ে নিচ্ছি। এটি যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য বিগ বাজেটের একটি ছবি হতে যাচ্ছে, তাই সময় নিয়ে নিখুঁতভাবে ছবিটি নির্মাণ করতে চাই।
সরকারি অনুদান পাওয়া ‘মায়া’ ছবি নির্মাণ প্রক্রিয়া কেমন চলছে?
হ্যাঁ, সবকিছু ভালোভাবেই এগোচ্ছে। দেশে ফিরে এ ছবির সবকিছু চূড়ান্ত করব। ও হ্যাঁ, ছবিটির নাম ‘মায়া’ থাকছে না। কারণ এই নামে একটি ছবি দেশে নির্মাণ হয়েছে।
দুটি ছবির নির্মাতা হিসেবে হিমেল আশরাফের নাম ঘোষণা করেছিলেন। শোনা যাচ্ছে তাঁকে এই দায়িত্ব থেকে বাদ দিচ্ছেন, সত্যি কী তাই?
এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। সময় হলেই সব জানাব। শুধু বলব সমৃদ্ধ কাজের স্বার্থে প্রয়োজনে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হতে পারে।
প্রেম নিয়ে গাল-গল্প আপনার পিছু ছাড়ছে না। এবার রাজকুমার ছবির মার্কিন অভিনেত্রী এবং পূজা চেরিকে জড়িয়ে আপনার রোমাঞ্চের খবর ছড়িয়েছে, কী বলবেন?
আসলে এসব হচ্ছে স্টারডামের ফসল। বিশ্বের বড় মাপের তারকাদের নিয়ে এমন গসিপ ছড়ানো পুরনো ট্র্যাডিশন। এসব আমি গায়ে মাখি না। সময় হলেই সবাই দেখতে পায় শাকিব আসলে দেশ ও দেশের চলচ্চিত্রের স্বার্থে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে, আরে কাজ করেই তো কূল পাই না, প্রেম করতে যাব কখন।
বিয়ে করছেন কখন?
হ্যাঁ, চলার পথে একান্ত আপন কারও সহযোগিতা সবার প্রয়োজন, তাই পরিবার আমার জন্য পাত্রী খুঁজছে। হাতের সব কাজ শেষ করে হয়তো আগামী বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারি। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।