আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। বিশেষ এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে অনেকেই অভিনব পন্থা বেছে নেন। বহু তারকা দম্পতির বিয়ের আয়োজন সংবাদের শিরোনামে এসেছে জাঁকজমক ও ব্যয়বহুলতার জন্য। তবে এই বিয়েতে যা হয় তা শুনে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
বিবাহ কথাটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুন্দর ও সুসজ্জিত পোশাকের বর, বধূ। কিন্তু জামাইকার একটি বিলাসবহুল হোটেলে এমনই এক বিবাহের অনুষ্ঠান হয় যেখানে বর, বধূ-সহ অতিথিদের গায়ে থাকে না এক টুকরো সুতোও। সমস্ত অতিথি পোশাক ছাড়াই উপস্থিত থাকেন। বর ও কনেও সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একজোড়া নয়, ২০০৩ সালে এমন ২৯ জোড়া যুবক-যুবতী এই অদ্ভুত প্রথায় বিয়ে সারেন। ওই বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভ্যালেন্টাইন দিবসে’ ওই হোটেলের বিচফ্রন্ট লনে সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে নগ্ন হয়ে হাজির হন সব দম্পতি। ছিলেন ভিন্ন দেশের এবং ভিন্ন পেশার মানুষ।
রেভারেন্ড ফ্রাঙ্ক সার্ভাসিও নামে এক ব্যক্তি এই অদ্ভুত গণবিবাহের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই এই ধরনের বিয়ের পুরোহিত হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০০৩ সালে প্রথম নয়, এর আগেও এই হোটেলটিতে এই ধরনের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রিসর্টটি বিখ্যাত এই কারণেই। ২০০৩ সালের বিবাহটি প্রথম নগ্ন গণবিবাহ হিসাবে সংবাদের শিরোনামে চলে আসে। প্রতি বছরই এই হোটেলে ১০ থেকে ১২টি এই বিশেষ বিয়ের আয়োজন করা হয়ে থাকে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।