জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন। স্টেশনটিতে টিকিট কাটতে হয় বসে অথবা শুয়ে। চাইলেও কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে টিকিট নেয়ার কোনো সুযোগই নেই।
প্রায় এক বছর ধরে এভাবেই এ স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
অথচ গাইবান্ধার যে তিনটি স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় তার মধ্যে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন একটি।
শুয়ে-বসে টিকিট নেয়ার বিষয়টি চরম বিরক্তিকর, বিশেষ করে নারীদের বেলায় আরও বেমানান।
এমন ঘটনায় বিভিন্নভাবে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েও মিলছে না সমাধান। কবে নাগাদ এর সমাধান হতে পারে এমন প্রশ্নেরও কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব নেই রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে।
স্টেশন থেকে প্ল্যাটফরমে শুয়ে টিকিট নেয়ার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সম্প্রতি বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা স্টেশনে টিকিট কাটছেন একেবারেই বসে। কেউ কেউ টিকিট সংগ্রহ করছেন কোমর বাঁকা করে। এতে করে কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
স্টেশন-সংশ্লিষ্টরা জানান, শুয়ে বা বসে টিকিট কাটার বিষয়টি আসলে তারা ইচ্ছা করে করেননি। এটি রেল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের কাজ।
যাত্রীদের সহজে ও নির্বিঘ্নে ট্রেনে উঠতে গত বছর স্টেশনের প্ল্যাটফরমের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য নির্মাণ কাজ করা হয়। আর স্টেশন মাস্টারের কক্ষ ও টিকিট কাউন্টারটি আগের উচ্চতায় থাকায় প্ল্যাটফরমটি প্রায় দুই ফুট উঁচু হয়। ফলে কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে এমন সমস্যায় পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
স্টেশনে টিকিট সংগ্রহ করতে আসা সুমন কুমার দেব নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘রেলওয়ে স্টেশনে এসে এভাবে টিকিট কাটা সত্যিই বেমানান। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও মহিলাদের জন্য অনেক কষ্টকর। এ ছাড়া মেয়েদের জন্য বসে টিকিট নেয়াটা আরও বেশি বিব্রতকর।’
দিনাজপুরগামী দেলোয়ার নামের এক রেল যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ট্রেনে ওঠার সুবিধার্থে প্ল্যাটফরমটি উঁচু করা হয়েছে ঠিক আছে, কিন্তু একদিকে উন্নয়ন করে অন্যদিকে ভোগান্তি হবে তা তো হতে পারে না!’
সমস্যা নিরসনে অবিলম্বে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হাইয়্যুল মিয়া বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়গুলোসহ কাউন্টারটি নতুনভাবে নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
এ ব্যাপারে রেলের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিভিশনাল ইন্জিনিয়ার, লালমনিরহাট) আহসান হাবিব বলেন, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই খুব দ্রুত বামনডাঙ্গা রেল স্টেশন মাস্টারের কক্ষটির সঙ্গে টিকিট কাউন্টারটিও নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।