বিনোদন ডেস্ক : ‘অপরাজিত রায়’ হয়ে উঠতে গিয়ে ৩৫ বছরের সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন জীতু কমল। ‘পথের পাঁচালি’ তৈরি করতে গিয়ে কিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল বাঙালির গর্বের পরিচালককে, সে সব ভাল ভাবে উপলব্ধি করেছেন। তখন সময়টাই যে ছিল একেবারে আলাদা!
অনীক দত্তর ছবিতে অভিনয় করার আগের জীবন আর পরের জীবন স্পষ্টই আলাদা, নিজেই মানছেন অভিনেতা। কারণ, মাঝের সময়টায় তিনি সমৃদ্ধ হয়েছেন। বহু কিছু জেনেছেন। অভ্যেস করে নিয়েছেন দিনে ঘণ্টাখানেক বই পড়া। তবে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা? সে তো ছোট থেকেই উদ্বুদ্ধ করেছে জীতুকে।
আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এসে খুশি মনে অনেক কথাই বলছিলেন জীতু। সে খুশি সাফল্যের নয়, বরং আত্মোপলদ্ধির। অভিনয়ের পালা চুকে গিয়ে ছবি মুক্তি পেয়ে গেল, তবু এখনও সত্যজিতে বুঁদ হয়ে আছেন তাঁর ‘ছায়া’। জীতুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সত্যজিতের কোন ছবি পছন্দ? উত্তরে শিশুর মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে তাঁর চোখদুটো। নিমেষে বলেছেন, ‘‘অবশ্যই ‘নায়ক’! ‘নায়ক’ আমার প্রিয় ছবি।’’ তবে কোনটাকেই বা বাদ দেবেন! সত্যজিৎ রায়ের ছবি মাত্রেই যে তাঁর প্রিয়, বলতে গিয়েই দিব্যি টের পেয়েছেন। বরং প্রিয় ছবির তালিকা দেওয়াটাই শ্রেয় মনে হয়েছে। অভিনেতার কথায়, ‘‘২ নম্বরে থাকবে ‘হীরক রাজার দেশে’। তার পর যথাক্রমে, ‘দেবী’, ‘আগন্তুক’ আর ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’।’’
তার পরেই জীতু বলে ওঠেন, ‘অপরাজিত’ শ্যুটিংয়ের আগেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ছুটেছিলেন তিনি। হয়তো তাকে দেখছিলেন সত্যজিৎ রায়ের চোখ দিয়েই। যেখানে হেঁটেছিলেন ছবি বিশ্বাস, সেই পথে পা রেখে কেমন রোমাঞ্চ লাগছিল, সে কথা বলতে বলতে আবারও তাতেই বুঁদ হয়ে যান অভিনেতা।
আবেগে ভাসছিলেন ‘অপরাজিত রায়’। বলেন, ‘‘সেই পানিহাটি যেখানে এত কিছু হয়েছে, আমার বাড়িও তো সেখানেই। তখনও কি জানতাম…।’’ তত ক্ষণে নস্টালজিয়া ভিড় করেছে জীতুর চোখে।
প্রশ্ন ছিল, ফেলুদা হতে তিনি আগ্রহী কি না। জবাব এসেছে, ‘‘সৌমিত্রদা, বেণুদাদের মতো যাঁদের এই চরিত্রে দেখে এসেছি, তাঁদের ছাড়া এখনও কাউকে ভাবতে পারি না। তবে সুযোগ এলে নিশ্চয়ই করব।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।