Advertisement
সোনা অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে বহুকাল ধরেই। সোনার গয়না শুধু সাজসজ্জা নয়, বরং নারীদের কাছে এটি আবেগ ও আভিজাত্যের প্রতীক। অনেকে আবার সোনাকে নিরাপদ ইনভেস্টমেন্ট বা বিপদের বন্ধু বলেও মনে করেন। বর্তমানে হলুদ সোনার পাশাপাশি হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনা নারীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।
সাদা সোনা বা হোয়াইট গোল্ড কী?
সাদা সোনা আসলে খাঁটি সোনা নয়। এটি একটি অলয় (Alloy), যা তৈরি হয় খাঁটি সোনা ও সাদা ধাতুর মিশ্রণে। সাধারণত এতে নিকেল, পেলাডিয়াম, সিলভার বা প্লাটিনাম ব্যবহার করা হয়।
- ২৪ ক্যারেট খাঁটি সোনা স্বাভাবিকভাবে হলুদাভ।
- এটিকে সাদা বা হালকা আভায় রূপান্তর করতে সাদা ধাতু মেশানো হয়।
- বাইরের দিকে সাধারণত রোডিয়াম প্লেটিং দেওয়া হয়, যাতে প্লাটিনামের মতো উজ্জ্বল সাদা চকচকে ফিনিশ আসে এবং স্ক্র্যাচ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
কেন সাদা সোনার দাম বেশি?
সাদা সোনার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার কয়েকটি কারণ আছে—
- খাঁটি সোনার পরিমাণ: ক্যারেট যত বেশি, দাম তত বেশি। যেমন ১৮ ক্যারেটের দাম ১৪ ক্যারেটের চেয়ে বেশি।
- দুর্লভ ধাতু: পেলাডিয়াম ও রোডিয়াম ব্যবহারের কারণে খরচ বেড়ে যায়।
- রোডিয়াম প্লেটিং ব্যয়: ফিনিশ ধরে রাখতে নিয়মিত পুনরায় প্লেটিং করতে হয়।
- প্রস্তুত প্রক্রিয়ার জটিলতা: সাদা সোনা তৈরিতে বেশি শৈল্পিকতা ও যত্ন লাগে।
- তাই ১৮ ক্যারেট হলুদ ও ১৮ ক্যারেট সাদা সোনায় সোনার পরিমাণ সমান হলেও, রোডিয়াম স্তর ও প্রক্রিয়াগত খরচের কারণে হোয়াইট গোল্ড সাধারণত বেশি দামি হয়।
কোথায় বেশি ব্যবহৃত হয় সাদা সোনা?
বিশ্বজুড়ে সাদা সোনার ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে—
- রত্ন সেটিং
- এনগেজমেন্ট রিং
- বিবাহের আংটি
- উচ্চমানের জুয়েলারি
হোয়াইট গোল্ড প্রাকৃতিক খনি থেকে পাওয়া যায় না। এটি সম্পূর্ণ শিল্প-নির্ভর প্রস্তুত পণ্য। জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত গয়না শিল্পে সাদা সোনা তৈরিতে অগ্রগামী।
সাদা সোনার ইতিহাস
- ১৮২৩ সালে ফরাসি জুয়েলারি বই L’art du Bijoutier-এ লুইস-নিকোলাস ভাউকুইলিন সোনা ও প্লাটিনামের মিশ্রণের উল্লেখ করেন।
- ১৯১২ সালে জার্মান রসায়নবিদ কার্ল লুইস উলম্যান প্রথম হোয়াইট গোল্ডের পেটেন্ট পান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।