লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাদা ভাত বাংলাদেশের প্রধান ও অতি পরিচিত খাবার। ভাত ছাড়া বাঙালির কিছুই চলে না। এটি খেতে সুস্বাদু এবং রান্না করা সহজ।
তবে সাদা চাল ছাড়াও বাদামী চাল বা ব্রাউন রাইস পাওয়া যার নানা উপকারিতা রয়েছে।
সাদা চাল একটি সাধারণ কার্বোহাইড্রেট, যা পুষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শোষণ করতে পারে। কারণ এতে তুষ কম পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু বাদামী চাল সাদা চালের চেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।
সাদা চালের পুষ্টিগুণ
সাদা চাল হল কার্বোহাইড্রেইটের উৎস। আর শরীরের প্রধান জ্বালানি হল এই কার্বোহাইড্রেইট। সাদা চাল দৈনিক কর্মশক্তির যোগান দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
এছাড়া সাদা চালে রয়েছে, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি। তাই ভাত নিয়মিত খেতেই পারেন।
বাদামী চালের পুষ্টিগুণ
পুষ্টিগুণের দিক থেকে সাদা চালের চেয়ে ব্রাউন রাইস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই সুপারফুডে কম ক্যালোরি, চর্বি এবং গ্লুটেন-মুক্ত। তাই সব ধরনের খাদ্য সচেতন মানুষই সাদা ভাতের চেয়ে এই ভাত বেশি পছন্দ করেন। এই চালে যেসব প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা হল,
খাদ্য তালিকাগত ফাইবার
খনিজ পদার্থ- জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম
ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস-ফ্ল্যাভোনয়েডস
প্রোটিন
অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড
কোনটা উপকারি
ভাত আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ৷ তবে সাদা চাল অত্যন্ত প্রক্রিয়াজাত । এটিকে সুন্দর দেখানোর জন্য অতিরিক্তভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় যার কারণে এর সমস্ত পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায় । সাদা ভাতের তুলনায় ব্রাউন চাল কেনো উপকারি তা দেয়া হল,
১. বেশ কিছু গবেষণায় করে জানা গিয়েছে,যে ব্রাউন রাইসে উপস্থিত ফাইবার, পলিফেনল এবং পাইটিক অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে এতে থাকা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু সাদা ভাত খেলে একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। সেই কারণেই সুগার রোগীদের সাদা ভাত খেতে নিষেধ করেন চিকিৎসকেরা।
২. ব্রাউন রাইসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে, পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি করে। এছাড়া ব্রাউন রাইসে সুপারঅক্সাইড নামে একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা কোষেদের ক্ষতি হওয়ার থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে সেলেদের শরীরে অক্সিডেশন ড্যামেজ যাতে বেশি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৩. ব্রাউন রাইস দিয়ে তৈরি ভাত, শরীরে প্রবেশ করার পর আমাদের দেহের বিভিন্ন জয়গায় জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল এর মাত্রা বাড়ায়। ফলে একদিকে যেমন ওজন কমতে থাকে, তেমনি অন্যদিকে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৪. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ব্রাউন রাইসে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতি করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই চাল। এছাড়া সাদা চালের তুলনায় ব্রাউন চালে বেশি ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৫. ব্রাউন রাইসে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের ভিতরে প্রোটিলেন্ডোপেটিডেস নামক একটি ক্ষতিকর এনজাইমের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে ব্রেনের ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। আর এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডিমেনশিয়া, অ্যামেনসিয়া এবং অ্যালঝাইমার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।