লাইফস্টাইল ডেস্ক : ছাত্র আন্দোলনের ফলে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছে তরুণরা। নিজেরাই স্ব-প্রণোদিত হয়ে দেশ সংস্কারের কাজে নেমে পড়েছে। ফলে সর্বোস্তরের মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে তারা।
তরুণদের এই সাফল্যে সামাজিক মাধ্যমে ‘জেন-জি’ শব্দ নিয়ে খুব বেশি চর্চা হচ্ছে। এর পূর্ণ রূপ হলো— জেনারেশন জেড। সাধারণত ইন্টারনেট তথা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে বলা হচ্ছে জেন-জি। স্বাভাবিকভাবেই জেন-জিরা আগের প্রজন্মের মানুষদের চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে। তারা তুলনামূলক বেশি চৌকস, মেধাবী ও উৎপাদনশীল।
তথ্যকোষ ব্রিটানিকা বলছে, নব্বইয়ের শেষ এবং শূণ্য দশকের প্রথম দিকে জন্ম নেয়া প্রজন্মই হলো জেনারেশন জেড।
গবেষকরা বলছেন, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া প্রজন্মকে জেনারেশন জেড বলা হয়। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ২৭ বছর। এ প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে ইন্টারনেটের যুগে। ফলে পুরো দুনিয়া তাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে মুহূর্তেই। তাই প্রযুক্তিতে আসক্ত প্রজন্মটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু সেই ধারণা বদলে দিয়ে তারা দেখিয়েছে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা।
মূলত, সরকারি চাকরিতে কোটার নামে বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। তাদের দমাতে সরকার তাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। আহত-নিহত হন শতাধিক শিক্ষার্থী। ফলে তাদের আন্দোলন আরও বেগবান হয়। শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপরই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নে বিভোর তারা। এর সূত্র ধরেই অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা করা হয়েছে দুই তরুণকে।
তরুণদের এই সাফল্যের পেছনে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে আত্মবিশ্বাস। সেই সঙ্গে পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় বেশি বাস্তববাদী মনোভাব। সরকারের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশের জেন-জি বিশ্বকে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, এই প্রজন্ম কেবল রাজনীতি ও প্রযুক্তি-সচেতনই নয়, ক্ষমতাসীনদের দমন-পীড়ন মোকাবিলার শক্তিও তাদের আছে। তাই এ প্রজন্মের হাত ধরে আসবে নতুন পৃথিবী, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।