আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে তেহরানে তার বাসভবনে হামলা হলে হানিয়াহ ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস। খবর প্রেস টিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের বিবৃতিতে হামাস নেতার মৃত্যুতে ফিলিস্তিনের জনগণ, মুসলিম বিশ্ব এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টের যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ইসমাইল হানিয়ার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরানে হানিয়ার বাসভবনে ইসরাইল হামলা চালালে তিনি নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি। ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও কোনো মন্তব্য এখনো আসেনি।
এর আগে মঙ্গলবার, হানিয়া ইরানের নতুন রাষ্ট্রপতির অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করেন।
চলতি বছর হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন ইসমাইল হানিয়া। ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী হানিয়া গাজা, ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং প্রবাসে হামাসের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি তুরস্ক ও কাতারে বিভিন্ন সময় থেকেছেন।
৫৮ বছর বয়সী হানিয়া হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ডানহাত ছিলেন। আহমেদ ইয়াসিন ২০০৪ সালে একটি ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন।
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি সংসদ নির্বাচনে হামাসের আশ্চর্যজনক বিজয়ের সময় হানিয়া সংগঠনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেন। ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ পার্টিকে পরাজিত করেছিল হামাস।
সূত্র: রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।