আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুইডেনে গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) স্ট্রাম কুর্স নামের কট্টরপন্থী পার্টি মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়ে দেয়। এর জেরে দেশটিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জন আহত হয়েছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে প্রায় ২৬ জন পুলিশ ও ১৪ জন ব্যক্তি আহত হয়েছে। এছাড়া ২০টির বেশি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ বা ধ্বংস হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, স্ট্রাম কুর্স পার্টির নেতা রাসমাস পালুদা কোরআন পুড়িয়ে ফেলার পর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাসমুস পালদানই মুসলিমবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা করে এবং তা প্রদর্শন করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া ছবি পোস্ট করে রাসমুস পালদা্ন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আরও কোরআন পোড়াবেন।
কে এই রাসমুস পালদান
রাসমুসের বাবা একজন সুইডিশ নাগরিক। তিনি ২০১৭ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন। সামাজিম মাধ্যম ইউটিউবে মুসলিমবিরোধী ভিডিও বানানোর মাধ্যমে তিনি নজরে আসেন।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এক ভিডিওতে রাসমুস বলেন,’ ইসলাম এবং মুসলিমরা হচ্ছে শত্রু। এই পৃথিবীতে যদি একজন মুসলিমও না থাকে তাহলে খুব ভালো হবে, তাহলে আমরা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাবো।’
ডেনমার্কে বর্ণবাদী ভাষণের কারণে ২০১৯ সালে ১৪ দিনের জেল হয় পালদানের। এর এক বছর পর ১৪ ধরনের বর্ণবাদী, মানহানি এবং বিপজ্জনক ড্রাইভিংয়ের কারণে আরও জেল হয় পালদানের।
সুইডেনের স্ট্রাম কুর্স কট্টরপন্থী দল ডেনমার্কের ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে একটি আসনেও জয় পায়নি। বর্তমানে পালদান আগামী ২০২৩ সালের জুনে নির্বাচনে ফের লড়বেন বলে পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু তার প্রার্থীতার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক স্বাক্ষর নেই বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।