জুমবাংলা ডেস্ক : দিন কয়েক আগেই এক ভক্তের স্ত্রীকে উধাও হয়ে যান ‘খেতা বাবা’। সেই ভক্তের স্ত্রীকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। কিন্তু এখনও ধরা পড়েনি সেই খেতা শাহ। ‘খেতা বাবা’কে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলেও গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে সোমবার রাতে রাবেয়া খাতুন নামের ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মহিলাকে নিয়েই ‘উধাও’ হয়ে যান খেতা বাবা।
জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন দুপুরের রাবেয়া খাতুন (৩৩) ফকির খেতা শাহকে সঙ্গে নিয়ে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলায় বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে বের হলেও তারা আর বাড়িতে ফেরেননি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে শফিকুল ইসলাম নামের ওই ভক্ত থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, খেতা বাবা তার স্ত্রী নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার সময়ে বাড়ি থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যান। ওই টাকা তিনি গরু বিক্রি করে পেয়েছিলেন। সেই টাকা রাখা ছিল ঘরে।
ওই এলাকার পুলিশ জানিয়েছে, তারা খেতা শাহর খোঁজ করছেন। ওই মহিলাকে উদ্ধারের পরে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু কে এই খেতা শাহ? জানা গিয়েছে, খেতা বাবার আসল নাম ফজলুল হক তালুকদার। ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় কাঁথাকে বলা হয় ‘খেতা’।
খেতা শাহ নামের এক ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দার টিকুরী এলাকায় সব সময় ছেঁড়া কাঁথা শরীরে জড়িয়ে রাখতেন। তিনি যা বলতেন তাই ফলে যেত এই বিশ্বাসে অনেক লোক তার ভক্ত হয়ে যান। তিনি মারা গেলে তাঁর নামে নির্মাণ করা হয় মাজার। নামকরণ করা হয় ‘খেতা ছিঁড়ার মাজার’। প্রতিবছর পালন করা হয় উরস উৎসব। এবারও চার মাস আগে তা শুরু হয়। এবারও কয়েক হাজার ভক্ত আসেন মনের বাসনা পূরণ করার আশায়।
সেখানেই পাগলবেশে আসেন ফজলুল হক তালুকদার । ৬০ বছর বয়সী ফজলুলের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পাইলাটি গ্রামে। তাঁর মুখে বড় দাড়ি, লম্বা গোঁফ । তিনি ছেঁড়া কাঁথা গায়ে জড়িয়ে সারাক্ষণ মাজারে বসে সময় কাটাতেন। কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে মাজারের নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে নিজেকে ‘খেতা শাহ’ হিসেবে পরিচয় দিতেন৷ তিনি কথা বলতেন কম। অনেকেই তাঁকে ফকির মনে করে দোয়া চাইতেন। তিনিও মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। তাতেই তাঁর ভক্ত তৈরি হয়। তাঁর ভক্ত হন শফিকুলও। দেড় মাস আগে তিনি শফিকুলের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।