লাইফস্টাইল ডেস্ক : আকাশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাইলটদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম একটি হল— দাড়ি রাখায় নিষেদ্ধাজ্ঞা। অনেকেরই এ নিয়ে প্রশ্ন, কেন একজন পেশাদার পাইলট দাড়ি রাখতে পারবেন না? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে বিমান চলাকালীন জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামের মধ্যে। অক্সিজেন মাস্ক।
বিমান যখন উচ্চমাত্রায় উড়তে থাকে, তখন ককপিটে অক্সিজেনের স্বাভাবিক চাপ অনেক কমে যায়। কোনও জরুরি পরিস্থিতি যেমন কেবিন প্রেসার কমে গেলে, পাইলটদের দ্রুত অক্সিজেন মাস্ক পরতে হয় যাতে তারা সজ্ঞান অবস্থায় থাকতে পারেন। এই মাস্কটি পাইলটের মুখের সঙ্গে সম্পূর্ণ (সিলিং) বা বদ্ধভাবে লেগে থাকা অত্যন্ত জরুরি, যাতে বাইরে থেকে কোনও বাতাস প্রবেশ না করে। ভিতরের অক্সিজেন বাইরে না চলে যায়।
কিন্তু যদি পাইলট দাড়ি রাখেন, তাহলে মাস্কটি মুখে ঠিকমতো সিল করতে পারে না। দাড়ির কারণে মাস্ক ও ত্বকের মধ্যে ফাঁক থেকে যায়, যার ফলে অক্সিজেন লিক হয়ে যেতে পারে। এটি বিশেষ করে উচ্চমাত্রায় উড়ন্ত বিমানে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। পাইলটের কিছু হওয়া মানে বিমানে উপস্থিত সকলের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। তাই অনেক বিমান সংস্থা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা (যেমন FAA, EASA) পাইলটদের পরিষ্কার মুখমণ্ডল বজায় রাখতে বাধ্য করে।
তবে কিছু কিছু দেশে এবং সংস্থায় ছোট গোফ বা নির্দিষ্ট স্টাইলের ছাঁটা দাড়ি রাখার অনুমোদন দেওয়া হয়, যদি তা মাস্কের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত না করে।
পাইলটদের জন্য দাড়ি না রাখার নিয়মটি নিছক পেশাগত সৌন্দর্যের বিষয় নয়, বরং এটি জীবনের এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।