লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বপ্ন এমন এক বিষয়, যা আমরা প্রতিটা মানুষই দেখি। আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, মানুষ কেন স্বপ্ন দেখে? স্বপ্ন আসলে কয়েকটি দৃশ্যের কিছু মুহূর্ত। স্বপ্ন আমাদের অবচেতন মনের ভাবনা। যে কোনো মানুষই ঘুমের মধ্যে কখনো কখনো স্বপ্ন দেখে থাকেন।
আমরা যখন জেগে থাকি, তখন অনেক কিছু চিন্তা করি। আবার যখন ঘুমাতে যাই, তখন স্বপ্নে সেসব চিন্তা–ভাবনার প্রতিফলন ঘটে। তবে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে কী দেখেছেন, তা অনেকের মনে থাকলেও, অনেকে আবার সকালে ঘুম ভাঙার পর রাতে স্বপ্নে কী দেখেছেন তা মনে করতে পারেন না।
চিকিৎসক এবং সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘আমরা যখন ঘুমাই, তখন পুরো সময়জুড়ে কিন্তু স্বপ্ন দেখি না। শুধু ঘুমের মধ্যে রেম (Rapid eye movement, REM) পর্বেই আমরা স্বপ্ন দেখি। ঘুমিয়ে পড়ার পর আমরা প্রথমে রেম সাইকেলে স্বপ্ন দেখি। এরপর ৯০ মিনিটের বিরতি, আবার স্বপ্ন দেখি। এভাবে চক্রাকারে চলতে থাকে। আমরা সচরাচর ৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে স্বপ্ন দেখি। এই সময় আমাদের মাংসপেশিগুলো সম্পূর্ণ শিথিল হয়ে যায়।’
ডা. সানজিদা শাহরিয়া মতে, আমাদের মনোজগতে অবচেতন মনের ব্যাপ্তি বিশাল। আমাদের সচেতন মন মাত্র ৫ শতাংশ। বাস্তবে যে বিষয়গুলো চেপে রাখতে চাই, আমরা স্বপ্নে সেটাই দেখি। যাদের বয়স ২৫ বছরের নিচে, তারা অধিকাংশ সময় রঙিন স্বপ্ন দেখেন। আর ৫৫ বছরের বেশি যারা, তারা সাদাকালো স্বপ্ন দেখেন।
অনেকেই ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নও দেখেন। কখনো কখনো সারা দিনের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ রাতের দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়। দুঃস্বপ্ন দেখলে মানুষ ঘুম ভাঙার পর ভয় বা অস্বস্তি বোধ করেন। দুঃস্বপ্ন থেকে তৈরি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি। এই ভয়ের রেশ দীর্ঘসময় ধরে টিকে থাকে। এতে নিদ্রাহীনতার সমস্যা মাথা চাড়া উঠতে পারে।
ডা. সানজিদা শাহরিয়া মনে করেন, প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে, বই পড়লে, ঘুমানোর আগে চা, কফি, মদ না খেলে, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে গেলে আর ঘুম থেকে ওঠলে মানুষ দুঃস্বপ্ন কম দেখবে। এ ক্ষেত্রে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে বের করতে হবে কোন কোন অবচেতন বিষয় আপনার মনে চাপ তৈরি করছে? এই বিষয়গুলো কীভাবে সমাধান করবেন? এ ধরনের সমস্যায় কাউকে আপনার মনের কথা খুলে বলতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাবেন। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।