লাইফস্টাইল ডেস্ক : মেঘাচ্ছন্ন আকাশ কে না ভালোবাসে। মেঘের গুড়ুম গুড়ুম শব্দ অন্ধকার চারদিক। ঘুম ঘুম আবহ নিয়ে এমন স্বস্তির বার্তা বিরাজ করে কমবেশি সবার মনেই। কারও কারও আবার দিন অতিবাহিত হয়ে যায় ঘুমের মধ্য দিয়েই।
এদিকে শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ নগরবাসীকে গাড়ির হর্ন, কনস্ট্রাকশনের শব্দের কারণে মাথা ব্যথা, নিদ্রাহীনতা, মেজাজ খিটখিটে, কানে কম শোনাসহ নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। দিনে-রাতে উচ্চ কিংবা নিম্নমাত্রার সকল শব্দই সকলের কাছে রীতিমতো বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাটাই এমন যে, তা কিছু কিছু শব্দকে এড়িয়ে যেতে পারে না। এরমধ্যে রয়েছে বিড়াল কিংবা কুকুরের ডাক, অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ, দরজা জোরে লাগানোর শব্দ, কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গাসহ নানাবিদ শব্দ। তবে একটা অদ্ভুত ব্যাপার সকলের জন্যই প্রযোজ্য। তা হলো এ সকল প্রকার শব্দে কারো ভালোভাবে ঘুম না আসলেও, ঝুম বৃষ্টির শব্দে খুব ভালো ঘুম পায়, কখনসখনও ঘুম হয় গভীরও! কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী?
বিজ্ঞানীদের মতে, বৃষ্টির শব্দ এমন ছন্দবৃত্ত শব্দ তৈরি করে যা অন্য কর্কশ শব্দকে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে দেয় না। বৃষ্টির এমন ছন্দে অন্য সব বিরক্তিকর শব্দ ঢাকা পড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা পাতার মর্মর বা বৃষ্টির শব্দকে ‘পিংক নয়েজ ইফেক্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন, যা অন্য শব্দকে মস্তিষ্ক থেকে হ্রাস করে ঘুম আসতে সাহায্য করে।
এছাড়া ঝুম বৃষ্টির ছন্দময় টপটপ শব্দ লুলাবাই বা ঘুমপাড়ানি গানের মতো মনে হয়, যা সহজেই একজন মানুষকে ঘুমের রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির দিনে বাতাসে নেগেটিভ আয়ন বৃদ্ধি পায় যা মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে, একারণে মানসিক স্বস্তি বা আরাম অনুভূত হয়। এছাড়াও বৃষ্টির দিনে বাতাসে অক্সিজেন কিছুটা কমে যাওয়ায় ক্লান্তি অনুভূত হয়। মেঘ ও ঝুম বৃষ্টিতে আবছা অন্ধকার অনুভূত হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ঘুমের জন্য সহায়ক।
সূত্র: ভোগ ডট কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।