লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের সমাজে অনেকের ধারণা, শুধু মিষ্টি খেলেই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু মিষ্টি নয়, ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন-
মানসিক চাপ এবং ভয়
শারীরিক বা মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
ঘুমের অভাব
ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে ইনসুলিন প্রতিরোধের এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হয়। এ ছাড়া কম ঘুম হলে বেশি মিষ্টিযুক্ত খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। এ প্রবণতা রক্তে সুগারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।
সকালের নাশতায় কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া
অল্প প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই যতোটা সম্ভব প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রোটিনের মাত্রা কমে গেলেই সুগার বেড়ে যায়।
কৃত্রিম সুইটনার
অ্যাস্পার্টাম বা সুক্রোলোজের মতো কৃত্রিম সুইটনারগুলি রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে সুগার ফ্রি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব খাবার কিডনির ক্ষতিও করে।
বার্ধক্য
বার্ধক্যের কারণেও ব্লাড সুগার বেড়ে যায়। বয়স বাড়লেও রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস থাকুক না থাকুক, সবার শরীরেই এই সমস্যা হয়। কিন্তু শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন থাকলে ব্লাড সুগার বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এমনকী ব্যায়াম করার মাধ্যমেও সুগার নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু প্রতিদিন যদি মিষ্টি, চিনি খেতে থাকেন, তাহলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে তাদের এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।