লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরম থেকে সুস্থ থাকতে সপ্তাহখানেক আগে এয়ার কুলার কিনেছিলেন রহমান মাজেদ। কিন্তু সপ্তাহ না গড়াতেই বিক্রির উপায় খুঁজছেন। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কেন? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইদানিং অনেক এয়ার কুলারের পোস্ট বা রিলের দেখা মিলছে। সেসব দেখে মনে হয় গরমের জন্য স্বস্তির একটি পণ্য এটি। তাহলে এয়ার কুলার কেনার পর কেন অনেকেই তা বেচে দিতে চান?
এয়ার কুলার কী?
এয়ার কুলার একটি কৃত্রিম ডিভাইস। এটি পানিকে বাষ্পে পানিতে পরিণত করে ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করে। ফলে নিয়ন্ত্রিত হয় ঘরের তাপমাত্রা। গরম হয় ঘর হয় শীতল। এয়ার কুলারের মধ্যে একটি পানির ট্যাংক থাকে। সেখানে পানি দিয়ে ভর্তি করে চালু করলে, কুলারের পাখাটি ঘুরতে শুরু করে। ধীরে ধীরে ট্যাংকে থাকা পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে, ঘর শীতল করে। এভাবেই কাজ করে যন্ত্রটি।
এয়ার কুলার ব্যবহারে অসুবিধা
এয়ার কুলার আর্দ্র অবস্থায় কাজ করে না। এটি দুর্বল ভেন্টিলেশনে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। এয়ার কন্ডিশনারের সঙ্গে অনেকে তুলনা টানলেও এটি এসির মতো শক্তিশালী মোটেও নয়। হাঁপানি রোগীরা এয়ার কুলারের বাতাস সহ্য করতে পারেন না।
এয়ার কুলার কিনে বিক্রির কারণ কী?
যখন কোনো পণ্য কিনে আমরা মনমতো সার্ভিস পাই না তখন সেটি বেচে দিতে চেষ্টা করি। এয়ার কুলারের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। অনেকেই ভাবেন এসির মতো ঘর ঠান্ডা করবে এই যন্ত্র। তাই এসির অনেক কম দামে এয়ার কুলার কেনেন।
বাস্তবতা হলো এয়ার কুলার কেবল একটি সাধারণ ফ্যান। এতে পানি দিলে তা বাষ্প হয়ে বাতাস ঠান্ডা করে। আপনি যদি টেবিল ফ্যানের পেছনে দুটো বরফের বোতল ঝোলান, তাহলেও একই কাজ করবে। এছাড়াও এয়ার কুলারে যতবার পানি দেবেন ততবার খানিকটা ঠান্ডা হাওয়া মিলবে। পানি শেষ তো এর কাজও শেষ। এমন করলে দিনে কয়বার পানি ঢালতে হবে ভাবুন। এত ঝামেলা কি আর কারোর ভালো লাগে? তাই কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে এয়ার কুলার বেচে দিতে চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।