লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীর ভালো রাখতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। থকথকে গাঢ় বাদামি রঙের এই মিষ্টি পদার্থটির গুণ অপরিসীম। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন, এনজাইম, যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও প্রতি দিন এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি থেকে মিলবে দ্রুত মুক্তি। হজমের সমস্যা দূর করতে মধু খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। মধুর স্বাদ প্রাকৃতিক ভাবেই মিষ্টি। তাই মধুতে থাকা মিষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি জোগায় ও শরীর কর্মক্ষম রাখে। শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এক কথায়, মধু শরীরবান্ধব একটি প্রাকৃতিক উপাদান। তবে গুণের পাশাপাশি মধুর রূপেও আছে বৈচিত্র। বিভিন্ন ধরনের মধু শরীরের নানান অসুস্থতা সামাল দেয়। এত গুণাগুণে ভরপুর মধু বছরের বছর বছর রাখলেও নষ্ট হয় না।
কিন্তু কেন মধু নষ্ট হয় না তা হয়তো অনেকেরই অজানা। মধু নষ্ট না হওয়ার অন্যতম কারণ মধুতে থাকে অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার বা চিনির উপাদান আর থাকে খুবই স্বল্প মাত্রায় পানির পরিমাণ। সেই কারণে মধু হলো হাইগ্রোস্কোকিপ, সেই কারণে এটি কখনও শুকিয়ে যায় না এবং এর সংস্পর্শে আসা কোনও মাইক্রোব এটিকে প্রভাবিত করতে পারে না।
মধুর অ্যাসিডিক প্রকৃতি এটির দীর্ঘ জীবনের অন্যতম কারণ। মধুতে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্লুকোনিক অ্যাসিড থাকে৷ ব্যাকরিটিয়াল গ্রোথকে একটি প্রতিহত করে। নেকটার তৈরির সময় এই গ্লুকোনিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়।
নেকটারে গ্লুকোস অক্সাইড নামক একটি বিশেষ ধরনের এনজাইমের ক্ষরণ করে মধু সংগ্রাহক মৌমাছি। মধুতে সেই কারণে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড তৈরি হয়। মধুতে উপস্থিত এই উপাদানটি অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল হিসেবে কাজ করে।
তবুও মধুর শিশিতে একাধিক স্পষ্ট মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করা থাকে, কারণ টাটকা মধু যাতে খেতে পারেন সাধারণ মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।