লাইফস্টাইল ডেস্ক : খরগোশ বা ভাল্লুকের মতো অনেক প্রাণীর কথা নিশ্চয় শুনেছেন যাদের হাতের তালুতে বা পায়ের নিচে লোম রয়েছে। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন মানুষের শরীরে অন্যান্য জায়গায় লোম গজালেও হাতের তালু বা পায়ের তলায় লোম বা চুল গজায় না কেন।
পেনসিলভিনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বৈজ্ঞানিক একটি গবেষণা চালান, যার বিষয়বস্তু ছিল, এটাই খতিয়ে দেখা কেন হাতের তালু ও পায়ের পাতায় চুল বা লোম গজায় না!
পরীক্ষায় দেখা যায়, আমাদের শরীরে এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন রয়েছে যার নাম ডাব্লিউএনটি। এই প্রোটিন একটি বার্তাবাহকের মত কাজ করে, যা চুলের বৃদ্ধি, স্থান এবং কোষের মধ্যে বৃদ্ধি সম্পর্কে তথ্য বহন করে। এই প্রোটিন দ্বারা প্রদত্ত সংকেত চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
গবেষণায় বলা হয়, মানব শরীরের যে অংশে চুল গজায় না, যেমন হাতের তালু, পায়ের তলা স্বাভাবিকভাবে এই অংশে ইনহিবিটার রয়েছে, যা প্রোটিনকে তার কাজে বাধা দেয়। এই ইনহিবিটারগুলি ডিকেকেটু নামে এক ধরনের প্রোটিন।
গবেষকরা জানান, গবেষণায় ইঁদুরের প্ল্যান্টার ত্বক বা পায়ের নিচের ত্বক থেকে যখন ডিকেকেটু প্রোটিন সরিয়ে নেওয়া হয়, সেখানে লোম গজাতে শুরু করে। খরগোশের ওপরও একটি পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, খরগোশের মধ্যে ডিকেকেটু প্রোটিন নেই, সেই কারণেই খরগোশের পায়ের পাতাতেও লোম রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জৈব বিবর্তনের কারণে জীবের মধ্যে এই প্রোটিন পাওয়া যায়। খরগোশ বা ভাল্লুকের মত প্রাণীদের বরফের ওপর বা পাথরের মত পরিবেশে হাঁটতে হয় বলে তাদের পায়ের তলে চুল রয়েছে। তবে মানুষের হাতের তালুতে চুল নেই বরং ভালোই হয়েছে, না হলে অনেক সমস্যায় পড়তে হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।