লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাপ, সোজা ও লম্বাটে একটা প্রাণী। অথচ এই প্রাণীটি নিজে সোজাসোজি চলতে পারে না। ঢেউয়ের মতো আঁকাবাঁকা হয়ে চলাচল করে এরা। কিন্তু সাপ কেন সোজা পথে চলতে পারেন না? এ প্রশ্ন কি কখনো ভাবিয়েছে আপনাকে?
না ভাবলেও ক্ষতি নেই, এখন আমাদের সঙ্গে সাপের আঁকাবাঁকা পথে চলার কারণটা দেখে নিতে পারেন।
সাপের আঁকাবাঁকা চলাফেরার পেছনে রয়েছে তাদের শারীরিক গঠন ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এগুলোই তাদের আঁকাবাঁকা হয়ে চলতে বাধ্য করে।
সাপের পা নেই, ফলে পায়ে হেঁটে সোজাসুজিভাবে চলা এদের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং চলাচলের জন্য এদের নির্ভর করতে শরীরের পেশী ও হাড়ের ওপর।
পেশী এবং হাড় বিশেষভাবে ব্যবহার করে গতি তৈরি করে। তাদের মেরুদণ্ডে প্রচুর পেশী ও হাড়ের গাঁট আছে, যা এদের দেহকে বাঁকাতে সহায়তা করে।
সাপের চলাফেরার প্রধান পদ্ধতি হলো সর্পিল গতি। সাপ তাদের দেহকে একের পর এক সংকোচন ও প্রসারণ করে বাঁকায়।
পেশী ও হাড়ের সাহায্যে মাটিতে ধাক্কা দেয়। নিউটনের তৃতী সূত্রানুযায়ী মাটিও পাল্টা বল প্রয়োগ করে সাপের শরীরে। এই প্রক্রিয়ায় দেহের প্রতিটি অংশ মাটির সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরি করে। ফলে চলাচলে গতি বাড়ে।
সাপের দেহের নিচের অংশ বা ত্বকে বিশেষ ধরনের আঁকাবাঁকা কাঠামো থাকে।
সেই কাঠামো মাটির সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরি করে। এই ঘর্ষণ তাদের চলার সময় স্থিতিশীলতা এনে দেয় এবং পেছনের অংশকে ঠেলে সামনে নিয়ে আসে। আর সামনের অংশ আরও সামনে এগিয়ে যায়।
আঁকাবাঁকা চলার কিছু সুবিধা আছে সাপের। এভাবে চলতে গিয়ে অিনেক বেশি এলাকা তার নিজের দর্শন এলাকায় পেয়ে যায। ফলে দ্রুত খাদ্যের সন্ধান পোওয়ার সম্ভাবনা। সাপ শিকারকে ঘিরে ফেলতে বা ফাঁদে ফেলতে পারে এই বক্রপদ্ধতি কাজে লাগে।
সাপের এই আঁকাবাঁকা গতি তাদের শিকার ধরার কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা খাদ্যের জন্য তাদের অভিযোজনকে আরো সহজ করে।
মোটকথা, সাপের আঁকাবাঁকা চলার কারণ তাদের শারীরিক গঠন এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন ভূমিকা রাখে। এটি তাদেরকে মাটিতে দ্রুত ও সহজে চলতে, শিকার ধরতে এবং আশ্রয় নিতে সহায়তা করে।
সূত্র: হাউ ইটস ওয়ার্কস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।