লাইফস্টাইল ডেস্ক : শেষ হলো প্রথম রোজা। রমজানে আমাদের ইফতারের অন্যতম একটি বড় অনুষঙ্গ খেজুর। খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা রমজানের ঐতিহ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা দিন উপবাসের পরে এমন কিছু খাওয়া উচিত যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। আর খেজুরকে বলা হয় প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। খেজুরের রয়েছে আরও অনেক পুষ্টি গুণ। খেজুর আয়রন, ক্যালসিয়াম, সালফার, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড, প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর।
রোজায় শরীরে ফাইবারের প্রয়োজন পড়ে। খেজুর শরীরের এই পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে। এছাড়াও সারাদিন না খেয়ে কাজকর্ম করে শরীর ক্লান্ত হয়ে ওঠে। এজন্য শরীর সচল রাখতে খেজুরে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বেশ কার্যকর।
খেজুর হজম করতে সাহায্য করে। সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতারে আমরা নানা রকম খাবার খেয়ে থাকি। হরেক রকম তেলে ভাজা, ফল, পানীয়তে জমে যায় ইফতার। এসব খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে খেজুর।
শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার জন্য হৃৎপিণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেজুরে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যা হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
খেজুরে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন বি নার্ভকে শান্ত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা খেজুর খেতে পারেন। এই ফল রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যেও পরিমিত পরিমাণে এই ফল উপকারি।
ত্বক ভালো রাখতেও এই ফলের জুড়ি নেই। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বক সুস্থ ও ঝলমলে থাকে। খেজুর চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।